কারবালা কবরস্থান মুতায়াল্লী কমিটির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের দোকান ঘর নির্মানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন –

Spread the love

কারবালা কবরস্থান মুতায়াল্লী কমিটির পক্ষ থেকে  জেলা পরিষদের দোকান ঘর নির্মানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন –

নিজস্ব সংবাদদাতা :-     মুর্শিদাবাদ জেলার এক্ ঐতিহ্যবাহী ও বিতর্কিত ওয়াকফ এস্টেট হল বহরমপুর শহরের কারবালা ওয়াকফ এস্টেট। বহরমপুর শহরের উত্তর পূর্ব প্রান্তে শিবডাঙ্গা বদরপুর মৌজায় অবস্থিত এই ওয়াকফ স্টেটের সভাপতি সানোয়ার সেখ সহ মুতাওয়াল্লি কমিটির বক্তব্য ও দলিল দস্তাবেজ অনুযায়ী বর্তমানে এই এস্টেটের সম্পত্তির পরিমাণ ৫ একর ৪০ শতক এবং এর বেশিরভাগটাই কবরস্থান ও রয়েছে একটি শতাব্দী প্রাচীন মসজিদও। অভিযোগ ২০০৬-২০০৭ সালে এই সম্পত্তির একাংশে প্রশাসনের মদতে ১২৮ টি অবৈধ দোকান নির্মাণ করা হয় এবং সেই জবর দখল করে তৈরী করা নির্মাণকে নিয়ে বড় ধরণের বিবাদের পর ওয়াকফ বোর্ড, মুতাওয়াললি কমিটি, জনসাধারণের যৌথ মিটিংয়ে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যা বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ দ্বারা মানা হচ্ছে না। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সেই ১২৮ টি দোকানের উপর নতুন করে দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হলে আবারও বিতর্ক শুরু হয়। কারবালা ওয়াকফ এস্টেটের আবেদনের ভিত্তিতে ওয়াকফ বোর্ডের নির্দেশে যৌথ মাপ হয়েছে গত ২৬ আগষ্ট ২০২৫। যৌথ মাপজোখের পর মুতাওয়াল্লি কমিটি বা ওয়াকফ এস্টেটের দায়িত্বশীলদের সাথে কোনও রূপ আলোচনা না করেই এ.ডি.এম., মুর্শিদাবাদ জেলাপরিষাদ নিজেই এক্ তরফা রিপোর্ট ওয়াকফ বোর্ডে পাঠিয়েছেন বলে আজকের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে অভিযোগ ওঠে এবং ওয়াকফ এস্টেটের দায়িত্বশীলদের কেউই এটা মানতে নারাজ যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। আরও আশ্চর্য্য করা বিষয় হল যে, এই কারবালা এস্টেটের বিষয়ে ওয়াকফ বোর্ডের একটি রিপোর্টে উঠে এসেছে যে সেখানে কোনও মসজিদই নেই! অথচ মসজিদের প্রতিষ্ঠা লিপি অনুযায়ী গৌড়ের সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ শাহের রাজত্বকালে ১৪৯০-১৪৯১ খ্রিস্টাব্দে ৮৯৬ হিজরীর মহরম মাসের দ্বিতীয় দিনে এই কারবালা মসজিদের নির্মাণ হয়। এই বিতর্কিত ওয়াকফ এস্টেটে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের জবর দখল রুখতে আজ যে সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয় কারবালা ওয়াকফ এস্টেটের দায়িত্বশীলদের পক্ষ থেকে সেখানে হাজির ছিলেন কনস্টিটিউশন প্রটেকশন ফোরামের পক্ষে নানান রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ববৃন্দ। সেই প্রতিনিধি দলের মধ্য থেকে এই বিতর্কিত ওয়াকফ সম্পত্তির বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ্ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জনাব মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, যেখানে ওয়াকফ সংশোধনী আইন-২০২৫ এর বিভিন্ন ধারার উপরে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ রয়েছে সেখানে এই বাংলায় কীভাবে অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি বিতর্কিত ওয়াকফ সম্পত্তিকে সরকারী সম্পত্তি বলে দেগে দিতে পারেন ! রাজ্যের ওয়াকফ বোর্ডই বা এ বিষয়ে কেন সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে না ? কোথায় গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গালভরা প্রতিশ্রুতি ? মুসলিমদের ওয়াকফ সম্পত্তি কী এভাবেই সরকার ও ক্ষমতাসিন দলের নেতাদের দ্বারা লুঠ হবে ? তিনি এই বিষয়ে বাংলার সমগ্র গণতন্ত্রপ্রেমী শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষদের সোচ্চার হওয়ার ডাক দেন।…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *