OBC নতুন তালিকার য় সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা ও পিআইবির ডেপুটেশন

Spread the love

OBC নতুন তালিকার
য় সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা ও পিআইবির ডেপুটেশন
____________________

ওয়েব ডেস্ক :-   রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদলের পর বর্তমান সরকারের প্রধান মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয় আগ্রহে অত্যন্ত অনগ্রসর ও আর্থ-সামাজিক ভাবে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু গোষ্ঠী গুলিকে সংরক্ষণের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এর ফলে বিগত এক দশকে উচ্চশিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে বাংলার সংখ্যালঘু সমাজ আস্তে আস্তে অগ্রসর হওয়ার উৎসাহ পায়। কালক্রমে হাইকোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ পরবর্তী ওবিসি বাতিল হলে বাংলার পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর সংখ্যালঘু সমাজের সংরক্ষণ প্রশ্নের মুখে পড়ে। অবশেষে সরকারের উদ্যোগে ওয়েস্ট বেঙ্গল কমিশন ফর ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস সম্প্রতি নতুন করে সার্ভে করে ওবিসি তালিকা প্রস্তুত করেছে। নতুন তালিকা অনুসারে যে সকল অ্যাডমিশন রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে দেখা যাচ্ছে সেখানে ওবিসি এ এবং ওবিসি বি উভয় তালিকাতেই বাংলার অনগ্রসর এবং অতি অনগ্রসর সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলির নামোল্লেখ থাকলেও বিভিন্ন এডমিশন তালিকা এবং রেজাল্টে তার কোন প্রতিফলন নেই। অর্থাৎ আপাত সংরক্ষণের আড়ালে সংখ্যালঘুরা ভয়ংকর ভাবে বঞ্চিত হতে শুরু করেছে।
ইতিপূর্বে ওবিসি এ তালিকায় অধিকাংশ অতি অনগ্রসর মুসলিম গোষ্ঠীগুলি থাকার ফলে কিছু সংখ্যালঘু নাম দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু বিদ্বেষের আবহে এখন ওবিসি এ তালিকা থেকেও সংখ্যালঘু নাম উধাও। সুচতুর ভাবে বেশ কিছু বড় বড় সামাজিকভাবে যথেষ্ঠ অগ্রসর সংখ্যাগুরু গোষ্ঠীকে ওবিসি এ তালিকায় যুক্ত করার ফলে প্রকৃত সুবিধা প্রাপকরা বঞ্চিত হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে একেবারে প্রথম থেকেই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বঞ্চিত মানুষজনদের উচ্চশিক্ষা, গবেষণায় সহায়তা, সামাজিক ন্যায় ও সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রোগ্রেসিভ ইন্টেলেকচুয়ালস অব বেঙ্গল। এই নতুন তালিকা কিভাবে প্রকৃত অনগ্রসর মানুষদের অধিকার কে হরণ করছে তা জানিয়ে ইতিমধ্যেই সংগঠনের তরফ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের সর্বস্তরে লক্ষাধিক মেল করা হয়েছে। এছাড়া জনসচেতনতা বিস্তার ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ডেলিগেট টিম পাঠিয়ে ডেপুটেশন দেওয়ার কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে পিআইবি। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন জেলার মাননীয় বিধায়কদের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হচ্ছে।
একুশে সেপ্টেম্বর PIB ডেলিগেট টিম বীরভূমের মুরারই এর বিধায়ক মাননীয় ডঃ মোশারফ হোসেন সাহেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি জমা দেয়। এছাড়া মাননীয় বিধায়কের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এই সংগঠন প্রকৃত অনগ্রসর জনগোষ্ঠীগুলির সংরক্ষণকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রথমত, পুনরায় আংশিক ওবিসি সার্ভের মাধ্যমে ওবিসি এ তালিকার যথাযথ পুনর্বিন্যাস করা হোক যাতে প্রকৃত সংখ্যালঘু অনগ্রসর গোষ্ঠীগুলি সংরক্ষণের সুবিধা পেয়ে প্রশাসনিক ও উচ্চশিক্ষায় যথাযথভাবে অংশ নিতে পারে।
দ্বিতীয়ত, বিহার বা তেলেঙ্গানার ধাঁচে অত্যধিক অনগ্রসরদের জন্য পৃথক ওবিসি সি বা এই জাতীয় কিছু চালু করা হোক যাতে সত্যিকারের অধিক অনগ্রসর গোষ্ঠীগুলি সামাজিক ন্যায় পায়। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডঃ মানাজাত আলী বিশ্বাস বলেন, “সুজলা সুফলা বাংলা গড়ার জন্য সমাজের সকল শ্রেণীর অংশগ্রহণ অত্যাবশ্যক। সংরক্ষণের প্রকৃত হকদার বঞ্চিত হলে সামাজিক ন্যায় লঙ্ঘিত হবে। পিছিয়ে পড়া সমাজ আরো অনগ্রসর হয়ে পড়বে। তাই বাংলার অনগ্রসর সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলিকে বাস্তবোচিত ও কার্যকরী সংরক্ষণ দেওয়া খুবই জরুরী। নতুন ওবিসি তালিকা সেই উদ্দেশ্যকে কোনভাবেই পূরণ করছে না। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমরা ওবিসি তালিকা পুনর্বিন্যাস ও পরিমার্জনের আবেদন রেখেছি।”


আজকের ডেলিগেট টিমে অংশ নিয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রমজান শরীফ সাহেব,
মেহেবুব আলম সাহেব,
ড: মেহেবুব আলম
অধ্যাপক ড: সারোয়ার হোসেন সাহেব,
অধ্যাপক ড: সাবির আহাম্মেদ ,
ড: তারিক আজিজ,
ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ সাহিদুল্লাসাহেব,
ইঞ্জিনিয়ার নূর আলম সাহেব,
নুরুল ইসলাম
জাহির শেখ
মোহাম্মদ নিয়ামোতুল্লা,
জুয়েল রহমান,
মনিরুল শেখ,
আলমগীর হোসেন,
আলাউদ্দিন শেখ,
অ্যাডভোকেট জসিম,
রিঙ্কু শেখ,
আলী হোসেন,
টিঙ্কু শেখ,
নাসির হোসেন,
কোমল শেখ,
এজাজুল শেখ,
আব্দুস সামাদ,
শরিফুল ইসলাম,
প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
মাননীয় বিধায়ক মোশাররফ হোসেন সাহেব এই ডেলিগেট টিমকে সাদর অভ্যর্থনা জানান।। তাদের বক্তব্য যথাযথভাবে শোনেন এবং সমগ্র বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *