বিধায়ক উপস্থিতে আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে বামনগাছি অঞ্চলে
মোমিন আলি লস্কর:-
২রা আগষ্ট থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য জুড়ে আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি ।২০২৬-এর ভোটের আগে মমতার মাস্টারস্ট্রোক গ্ৰামের ছোট সমস্যার সমাধানে এবার নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ২০২৬সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে গ্রামীণ এলাকার মানুষের সঙ্গে আরও নিবিড় সংযোগ গড়ে তুলতেই এই ধরনের জনমুখী প্রকল্পের ওপর জোর দিচ্ছে তৃণমূল । তবে সরকারি সূত্রের দাবি, এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য, পাড়ায় পাড়ায় প্রশাসনের উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং সরাসরি মানুষের সমস্যার মাটিতে দাঁড়িয়ে তার সমাধান করা ।”দুয়ারে সরকারের পরে এবার ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ থেকে নয়া আন্দোলনের ঘোষণার পরদিনই মঙ্গলবার নবান্নে নয়া সরকারি প্রকল্পের ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।প্রতিটি নির্বাচনের আগেই কোনও না কোনও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কখনও ‘দিদিকে বলো’, কখনও ‘দুয়ারে সরকার’, কখনও ‘লক্ষ্মীর আওতায় নিয়ে আসাই সরকারের লক্ষ্য।ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রাজ্যের সমস্ত বুথের মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইছেন মমতা। অতীতের তিন বিধানসভা নির্বাচনে গ্রামবাংলা থেকে ভরপুর ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। ’২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে এই পদক্ষেপ মমতার ‘মাস্টারস্ট্রোক’ বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।কারণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে এক দিকে যেমন স্থানীয় সমস্যাগুলির সমাধান সম্ভব, অন্য দিকে রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেসও প্রকল্পের কথা সামনে রেখে তৃণমূল স্তরে গিয়ে জনসংযোগ করতে পারবে। যার ফল দেখা যেতে পারে ভোটবাক্সে।আজ সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগর এক নম্বর ব্লক উন্নয়ন বোর্ড অধীনে বামনগাছি পঞ্চায়েতের অধীনে দক্ষিণ অরুনগর গ্ৰামের মালদাঁড়ি দক্ষিণ অরুনগর প্রাইমারি স্কুলে ২১৮,২১৯,২২০ এই তিন টি বুথ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান। আজ সকাল থেকে কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আজকের এই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ অরুনগর গ্ৰামের ২১৮,২১৯,২২০, বুথ থেকে আগত নারী ও পুরুষ তাদের মূল্যবান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এবং অন্যান্য অভাব ও অভিযোগ পত্র নিয়ে উপস্থিত হন। এবং সেই সব অভিযোগে এবং তার সমাধান করতে এগিয়ে আসেন জয়নগর এক ব্লক উন্নয়ন বোর্ড। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যেই পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে এই জনমুখী কর্মকাণ্ড।এই কর্মসূচি তে রয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা ও গ্রামীণ উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ও শিশু স্বাস্থ্য পরিচর্যা এবং কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী এবং যুবশ্রী সহ বহু জনমুখী কর্মকাণ্ড।এই কর্মসূচি র মধ্যে দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে এসেছেন।আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বারুইপুর পূর্বের বিধান সভার বিধায়ক বিভাস সর্দার,জয়নগর এক নম্বর ব্লক সমিতির উন্নয়ন জয়নগর এক ব্লক উন্নয়ন বোর্ড আধিকারিক নিমাই বিশ্বাস । বামনগাছি অঞ্চলের প্রধান সাহেবা সেরিফা বিবি লস্কর,বামনগাছি অঞ্চলের উপপ্রধান তাপসী সর্দার,বামনগাছি অঞ্চলের প্রাক্তন উপপ্রধান কমল চন্দ্র সর্দার, জয়নগর এক নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ্য সন্তোষ কুমার নস্কর, জেলা পরিষদের সদস্যা,বামনগাছি অঞ্চলের যুব কার্যকারী সভাপতি আনোয়ার উদ্দিন মিস্ত্রী (লাল্টু দা ),এই অঞ্চলের যুব সভাপতি মাহতাব লস্কর, ডাঃ সাইদুল লস্কর, রহমাতুল্লাহ লস্কর,খাকুরদহ অঞ্চলের উপপ্রধান ফারুক হোসেন হালদার, দিবাকর মন্ডল বামনগাছি অঞ্চলের ২১৮ বুথের সদস্য,বামনগাছি অঞ্চলের সমস্ত সদস্য সদস্যারা উপস্থিত ছিলেন।
আজকের এই অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ও উপস্থিত সকল সাধারণ মানুষ কে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বামনগাছি অঞ্চলের প্রধান সাহেবা সেরিফা বিবি লস্কর। বারুইপুর পূর্বের বিধান সভার বিধায়ক বিভাস সর্দার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান এই প্রোগ্রাম টি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসাধারণ মানুষের কথা ভেবে তিনি এই প্রোগ্রাম টি করছেন কারণ গ্ৰাম গঞ্জে আমরা দেখছি ছোট ছোট কাজ গুলো বেশিরভাগ বাদ পড়ে গেছে।তাই তিনি চিন্তা করেছেন কিভাবে এই ছোট্ট ছোট্ট কাজ গুলো করা যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ সিদ্ধান্ত নেয় তিনি আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান একটি প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করবেন। তিনি প্রতিটি বুথে ১০লক্ষ টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেন। বারুইপুর পূর্বের বিধায়ক বিভাস সর্দার বলেন ভারতবর্ষের এমন কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এইরকম প্রোগ্রাম করতে পারেনি এবং পরে কোন মুখ্যমন্ত্রী পারবে বলে আমি মনে করি না।এটা একটা ঐতিহাসিক বিষয় হয়ে থাকলো। তিনি পরিষ্কার ভাবে অঞ্চলের সদস্য ও সদস্যা এবং প্রধান, উপপ্রধান বুঝিয়ে দিল এই প্রোগ্রামটি যে কাজ গুলি হবে তার সমাধান করবেন পাড়ার সাধারণ মানুষ জন। এখানে কোন সদস্য, প্রধান, উপপ্রধান, এমনকি বিধায়কের কোন ক্ষমতা নেই ।কেবল মাত্র পাড়ার মানুষের ক্ষমতা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর সমাধানে জন্য। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন আপনা কেউ সদস্যদের কথা শুনবেনা আপনাদের সমস্যা আপনারা এই প্রোগ্রাম মাধ্যমে সমাধান করবেন।

