বহরমপুরে ওয়াকফ সচেতনতা সভা: উম্মিদ পোর্টালে সম্পত্তির নাম তোলার বিষয়ে আলোচনা

Spread the love

বহরমপুরে ওয়াকফ সচেতনতা সভা: উম্মিদ পোর্টালে সম্পত্তির নাম তোলার বিষয়ে আলোচনা

নিজস্ব সংবাদদাতা ,বহরমপুর :- মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে P.R.C হলে এ অনুষ্ঠিত হল একটি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াকফ সচেতনতা সভা। এই সভায় মূল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল কেন্দ্রীয় উম্মিদ (UMEED) পোর্টালে ওয়াকফ সম্পত্তির নাম তোলা বা রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া। এটি ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর অধীনে নির্ধারিত ৫ ডিসেম্বর এর ২০২৫-এর মধ্যে উম্মিদ পোর্টালে নাম তোলার শেষ সময় ,এই সময়ের মধ্যে উম্মিদ পোর্টালে নাম তুলতে হবে । এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আলোচনাসভা। সভাটি অল ইন্ডিয়া মোতায়াল্লি কমিটির উদ্যোগে এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বাধিকার রক্ষা মঞ্চের ব্যবস্থাপনায় সম্পন্ন হয়।

সভায় মূল আলোচক ছিলেন
– **সৈয়দ ইরফান শের**: মোতায়াল্লি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। তিনি কলকাতা-ভিত্তিক আইনজীবী এবং ওয়াকফ সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণকারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন। পশ্চিমবঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তির নিয়ে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
– **মৌলানা নিজামুদ্দিন কাসেমী**: অল বেঙ্গল ইমাম মোয়াজ্জিন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক।
– **ডাঃ মীর হাসনাৎ আলী**: স্থানীয় ওয়াকফ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
– এছাড়াও. জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের মোতায়াল্লি গণ (ওয়াকফ সম্পত্তির পরিচালকরা) উপস্থিত ছিলেন, যারা পোর্টালে রেজিস্ট্রেশনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং শেষে প্রশ্ন উত্তরের মধ্যে বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে আলোচিত হয় ।

ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর ফলে ভারতে সকল ওয়াকফ সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য উম্মিদ পোর্টালে (umeed.minorityaffairs.gov.in) আপলোড করতে হবে। এটি মোতায়াল্লিদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় যেখানে প্রযুক্তিগত অজ্ঞতা এবং ইন্টারনেটের অভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৮০,৪৮০-এরও বেশি অচল সম্পত্তি ওয়াকফের অধীনে রয়েছে, যা উত্তরপ্রদেশের পর দ্বিতীয় স্থান। সভায় এই প্রক্রিয়া সহজ করার উপায়, মেয়াদ বাড়ানোর দাবি এবং সম্পত্তির সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

এই ধরনের সচেতনতা কর্মসূচি দেশব্যাপী চলছে, যেমন তেলেঙ্গানায় ওয়াকফ বোর্ডের সহযোগিতায় বিভিন্ন জেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুর্শিদাবাদে এটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক, কারণ এখানে উম্মিদ পোর্টালে একটাও আবেদন হয় নি। শেষে ইরফান শের সাহেব বলেন ওয়াকাফ সম্পত্তি শুধু মুসলিম রা ভোগ করেন না,অমুসলিমরাও ব্যাপক ভাবে ভোগ করেন ,তাই ওয়াকাফ নিয়ে কোন ক্ষতি হলে এর ক্ষতির স্বীকার অমুসলিমরাও হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *