নিউজ ডেস্ক:- চীনের সংস্থাগুলির কাছ থেকে প্রায় দশ হাজার কোটি টাকা পি এম কেয়ারস ফান্ডে মোদী অনুদান নিয়েছে। চীনের প্রতি দুর্বলতা আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এবং প্রধানমন্ত্রীর তৈরি করা পিএম কেয়ারস ফান্ডে বহু চীনা কোম্পানি কয়েকশ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে যা দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুব উদ্বেগজনক। লাদাখ ইস্যু নিয়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুললো কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, করোনা মোকাবিলায় দেশ-বিদেশ থেকে ত্রাণ সংগ্রহের জন্য পিএম কেয়ারস নামের তহবিল তৈরি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিভিন্ন দেশীয় কোম্পানির পাশাপাশি Xiaomi, Oppo, Huawei সহ বহু বিখ্যাত চীনা কোম্পানি কোটি কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে এই তহবিলে।
আজ এক বিবৃতিতে কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেছেন, “রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি বছরের ২০মে পর্যন্ত এই বিতর্কিত তহবিলের মাধ্যমে ৯,৬৭৮ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। অবাক করার মতো বিষয় হলো, চীনা সেনাবাহিনী আমাদের ভূখন্ডে প্রবেশ করলেও, চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকেই অনুদান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।”
আটটি প্রশ্নের একটি তালিকা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেগুলোর উত্তর চেয়েছেন কংগ্রেস নেতা। প্রশ্নগুলো হলো, “বিতর্কিত সংস্থা HUAWEI থেকে ৭ কোটি টাকা অনুদান পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী? চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সাথে কি HUAWEI-এর সরাসরি সংযোগ রয়েছে? টিকটকের মালিকানাধীন চীনা সংস্থা কি বিতর্কিত পিএম কেয়ারস তহবিলে ৩০ কোটা টাকা অনুদান দিয়েছে? ৩৮ শতাংশ চীনা মালিকানাধীন সংস্থা পেটিএম কি প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে ১০০ কোটি অনুদান দিয়েছে? চীনা কোম্পানি Xiaomi কি এই বিতর্কিত তহবিলে ১৫ কোটি টাকা অনুদান দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ? চীনা কোম্পানি OPPO কি এই বিতর্কিত তহবিলে ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে?”
সম্প্রতি Xiaomi-র পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে তারা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও অনুদান দিয়েছে। OPPO মোবাইলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিল ও উত্তরপ্রদেশ মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে তারা। ওয়ানপ্লাসও এক কোটি টাকা অনুদান দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, পিএম কেয়ারস তহবিলটি ব্যক্তিগত তহবিলের মত পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারিভাবে কোনো অডিট বা আরটিআইয়ের মাধ্যমে এর কোনো তথ্য জানার উপায় নেই। এই তহবিলে কোনো স্বচ্ছতা নেই।
বার বার আঙ্গুল উঠছে পি এম কেয়ারস ফান্ডের দিকে ।এটা মোদিজী ব্যাক্তিগত ভাবের মত ব্যাবহার করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের ।