নিউজ ডেস্ক :- হুগলীর আরামবাগ মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় থেকে যেমন, ঘোষপুর, মাধবপুর, বালিপুর এই সব অঞ্চলের প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ বিজেপি ও সিপিএম ছেড়ে তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করলো। এদিনের যোগদানকারী কর্মীদের মধ্যে বেশ কিছু পরিযায়ী শ্রমিক সহ বিজেপি ও সিপিএম দল থেকে সাধারণ কর্মী এবং দলীয় নেতৃত্বরাও তৃণমূলের যোগদান করেন।
আজ তাদের তাদের হতে তৃণমূল কংগ্রেসে দলীয় পতাকা তুলে দেন, হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি দিলীপ যাদব ও যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তুনু ব্যানার্জি।
এদিন তৃণমূলে যোগদানকারী কর্মীদের উদ্দেশ্যে জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, হুগলী জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানাই অভিনন্দন। আগামী দিনে আমরা সকলে দলের নীতি আদর্শ মেনে সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে দলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। এদিন তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতি পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কড়া সমালোচনা করেন।
একাধারে মানুষ তৃণমূলে যোগদানের করছে কারণ জানতে চাওয়া হলে, জেলার যুব সভাপতি শান্তুনু ব্যানার্জি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের উপর বিশ্বাস করে মানুষ দিকে দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে। মানুষ বিজেপিতে আর থাকতে চাইছে না তাদের দম বন্ধ হয়ে আসছে। বিজেপি মানুষের জন্য কাজ করে না। চারিদিকে দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে আর বড়ো বড়ো ভাষণ দিচ্ছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে করোনা বলুন আরা আম্ফান বলুন আমাদের নেত্রী একাধারে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে চলেছেন। তাই মমতা ব্যানার্জির কাজে সামিল হতে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতা কর্মীরা তৃণমূল-কংগ্রেসে যোগদান করছে।
উক্ত অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন, হুগলী জেলা তৃণমূল কংগ্রেসর সভাপতি দীলিপ যাদব, যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শান্তুনু ব্যানার্জি সহ তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতৃত্বেবৃন্দ।
..