নিউজ ডেস্ক:- দিল্লীর মারকাজে তাবলিগ জামাতের সদস্যদের করোনা নিয়ে গোটা দেশে ঝড় বয়ে গিয়েছিল । সেই সময় তাবলিগ জামাতের সদস্যদের কালো তালিকা ভুক্ত করা হয় । এখন সেই বিষয়ে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র সরকার । তাবলিগ জামাতের বিদেশি সদস্যদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা নিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র। কীসের ভিত্তিতে ওই সংগঠনের প্রায় ৩৫০০ সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? ব্যাখ্যা চাইল সর্বোচ্চ আদালত । সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, ওদের উপর নিষেধাজ্ঞার আগে নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়েছে, নাকি স্রেফ নির্দেশিকা দিয়েই ওদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্র?
উল্লেখ্য, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ধর্মীয় কার্যকলাপ এবং জমায়েত করার অভিযোগ এখনও পর্যন্ত তবলিঘি জামাতের প্রায় ৩৫০০ বিদেশি সদস্যকে ব্ল্যাকলিস্ট বা কালো তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্র। বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশের বাসিন্দা এই তালিকায় আছেন। আগামী ১০ বছর এদের ভারতে প্রবেশের অনুমতি নেই। গত ২ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে ৯৬০ জন তাবলিগ জামাত সদস্যকে ব্ল্যাকলিস্ট করা হয়। পরবর্তী পর্যায়ে গত ৪ জুন আরও ২৫০০ বিদেশিকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভারত সরকার। কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন থাইল্যান্ডের এক মহিলা। তাঁর দাবি ছিল, কেন্দ্র তাঁদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির আগে নির্দিষ্ট নিয়ম মানেনি। তাঁদের যুক্তি বা সাফাই কোনওটাই শোনা হয়নি।
সেই মামলার ভিত্তিতে সোমবার বিচারপতি এএম খানউইলকর কেন্দ্রকে একপ্রকার তিরস্কার করেন। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতাকে তিনি বলেন,”যেটা জারি করা হয়েছিল সেটা সামান্য একটা সংবাদ বিবৃতি। এখানে কোথাও বলা নেই যে, সব মামলা খতিয়ে দেখে, নোটিস পাঠিয়ে, নির্দেশিকা পাশ করিয়ে তবেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। কাউকে ব্যক্তিগত স্তরে নোটিস পাঠিয়ে তাঁর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না। এ বিষয়ে ভারত সরকারের অবস্থান কী, তা আমাদের জানান। ওদের উপর নিষেধাজ্ঞার আগে কি নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয়েছে? নাকি স্রেফ নির্দেশিকা দিয়েই ওদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে?” আগামী ২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন এ বিষয়ে কেন্দ্রকে অবস্থান স্পষ্ট করার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুত্র :- সংবাদ প্রতিদিন