দলের নির্দেশে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির পদত্যাগ
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি যখন জোরদার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই বিজেপির দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ধর্ষন ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠায় কিছুটা হলেও রাজ্য বিজেপি এখন বিপাকে। শেষমেষ দলের নির্দেশে বিজেপির দক্ষিন কলকাতা জেলা সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জী শনিবার পদত্যাগ পত্র পেশ করেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে।
প্রসঙ্গত: বিজেপির জেলা শিক্ষক সেলের প্রাক্তন কনভেনর এক মহিলা কর্মী গত ১ জুলাই হরিদেবপুর থানায় বিজেপির দক্ষিন কলকাতা জেলা সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জীর বিরুদ্ধে ধর্ষন ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ পর্যন্ত এই দু’বছরে সোমনাথবাবু তাকে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারংবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। এমনকি একাধিক বার তাকে ধর্ষণও করেছেন। নানা অছিলায় তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়েছেন সোমনাথবাবু। এমনই গুরুতর অভিযোগ বেহালার ১২৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত মতিলাল গুপ্ত রোডের বাসিন্দা ওই মহিলার। পেশায় তিনি একজন শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে, বিজেপির প্রাক্তন ওই মহিলা কর্মী ২০১৭ সালেই কনভেনরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এমনকি দলও ছেড়ে দেন তিনি।
অন্যদিকে, বিজেপির দক্ষিন কলকাতা জেলা সভাপতি সোমনাথ ব্যানার্জী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে রূপকথার গল্প সাজিয়ে তাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করেছেন ওই মহিলা। তার সঙ্গে এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ঘটনাটা যদি সত্যি হতো তাহলে ওই মহিলা এতদিন চুপ করেছিলেন কেন ? হটাৎ করে এখন অভিযোগ করার মানে কি ? ওই মহিলা তাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলে জানান সোমনাথবাবু।
ঘটনা যাই ঘটুক না কেন, দীর্ঘদিন চুপ করে থেকে হটাৎ করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করায়, রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিজেপির অধিকাংশ কর্মী। কর্মীরা অনেকেই প্রকাশ্যে বলছেন, দল ছেড়ে দিয়ে এখন দলের ক্ষতি করার চক্রান্ত করছেন ওই মহিলা।