আপাতত: বিজেপি’র দক্ষিন কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সোমনাথই
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : নতুন জেলা সভাপতি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আপাতত: বিজেপি’র দক্ষিণ কলকাতা জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সোমনাথ ব্যানার্জী। উল্লেখ্য, দলের প্রাক্তন এক মহিলা কর্মী গত ১ জুন হরিদেবপুর থানায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সোমনাথবাবুর দাবি, তাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে। তবুও দলের ভাবমূর্তির কথা ভেবে শনিবার তিনি নিজেই জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত জেলা সভাপতির কাজ সামলাবেন সোমনাথই। তবে কবে বিকল্প ব্যবস্থা হবে, তার কোনও ইঙ্গিত অবশ্য দিলীপবাবুর কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
সোমনাথ ব্যানার্জী পদত্যাগ করার পর থেকেই বিজেপির অধিকাংশ দলীয় কর্মীরাই ক্ষেপে যান বিজেপির ওই প্রাক্তন মহিলা কর্মীর উপর। অধিকাংশ কর্মীদের বক্তব্য, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের একটা পুরনো মিথ্যা গল্প সাজিয়ে সোমনাথবাবুকে “ব্ল্যাকমেল” করতে চাইছিলেন ওই মহিলা। সেটা “সাকসেস” না হওয়ায় সোমনাথবাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তিনি। এনিয়ে রবিবারও চাপানউতোর অব্যাহত রয়েছে দক্ষিন শহরতলীর বিজেপির দলীয় কর্মীদের মধ্যে।
জেলার অধিকাংশ বিজেপি কর্মীরাই এখন প্রকাশ্যে বলছেন, সোমনাথ ব্যানার্জী কলকাতা দক্ষিন শহরতলী জেলার সভাপতি হওয়ার পর থেকেই এই জেলায় তৃনমূলের সঙ্গে লড়াই করার মনোবল বৃদ্ধি হয়েছে বিজেপির। তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বিপাকে ফেলতে ওই মহিলাকে গুটি করেছে বিরোধীরা। উপরন্তু বিজেপির এই সাংগঠনিক শক্তির বাড়বাড়ন্তকেও ভালো চোখে দেখছে না তারা। ওই মহিলা বিজেপির বিরোধী দলের দালালি করছেন বলে তাদের দাবি।
বহুদিন আগেকার পুরনো একটা ঘটনা (সত্যি অথবা মিথ্যা) নিয়ে এতদিন পর হটাৎ এখন কেন তিনি “তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে” বলে অভিযোগ দায়ের করতে গেলেন, এটাই বুঝে উঠতে পারছেন না বিজেপির অধিকাংশ দলীয় কর্মী। এব্যাপারে ওই মহিলাকে এই প্রতিবেদক (সাংবাদিক) বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তাই তার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।