করোনা আতঙ্কে গুরুতর আহত যুবককে ভর্তি করতে দেরি করায় মৃত্যু, বিক্ষোভ ও ভাঙচুর ঠাকুরপুকুরের কস্তুরী নার্সিং হোমে
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : হরিদেবপুর থানা এলাকায় কলুয়া বাদামতলার বাসিন্দা অনিকেত দাস (২০) নামের এক যুবক অশান্তির কারণে আত্মহত্যা করতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়। ওই অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ঠাকুরপুকুরে কস্তুরী নার্সিং হোমে ভর্তির জন্য নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু করোনা আতঙ্কে নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও কর্মীরা তাকে ভর্তি না নিয়ে অযথা দেরি করায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের। এরপরই নার্সিং হোমের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ও বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা।
জানা গিয়েছে, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে অনিকেত নামের ওই যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করতে যায়। তার বাড়ির লোকেরা দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে উদ্ধার করেন। গুরুতর জখম অবস্থায় অনিকেতকে দুপুর সোয়া ২ টো নাগাদ কস্তুরী নার্সিং হোমে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা।
কিন্তু করোনা’য় আক্রান্ত রোগী ভেবে করোনা’র আতঙ্কে নার্সিং হোমের চিকিৎসক ও কর্মীরা তাকে ভর্তি নিতে অযথা দেরি করতে থাকেন। গুরুতর আহত অনিকেত চিকিৎসা না পেয়ে নার্সিং হোমেই মারা যায় বলে বাড়ির লোকেদের অভিযোগ। সূত্রের খবর, এরপরই নার্সিং হোমের আসবাব পত্র ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। বিক্ষোভ শুরু হয় নার্সিং হোমের সামনে। খবর পেয়ে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
অন্যদিকে, কস্তুরী নার্সিং হোমের নাইট সুপারিনটেনডেন্ট অমিত দত্ত বলেন, “ব্রড ডেথ পেসেন্টকে নিয়ে এসেছিল বাড়ির লোকেরা। দেরিতে ভর্তি নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
এলাকার মানুষের অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতি ও ভূল চিকিৎসার ফলে বহু মানুষের মৃত্যু ঘটেছে এই নার্সিং হোমে। চিকিৎসা বিভ্রাটের কারণে ইতিপূর্বে বহুবার সংবাদের শিরোনাম এলেও এই নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনও ব্যাবস্থা নেয়নি। মাঝে মধ্যেই ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর ঘটনায় হৈ চৈ কিংবা ছোট-খাটো ঝামেলাও লেগে রয়েছে এখানে ।