সরকারি অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদকে দুর্নীতিগ্রস্ত বললেন শাসকদলের বিধায়ক
পরিমল কর্মকার : ১৪ জুলাই মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরে এগরা ঝাটুলাল হাই স্কুলে আনুষ্ঠানিক ভাবে সূচনা হয়ে গেল বন মহোৎসব অনুষ্ঠানের। অথচ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের উদ্যোগে সরকারি এই অনুষ্ঠানে ডাক পেলেন না শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক সমরেশ দাস। এমনকি তার নামও রাখা হয়নি আমন্ত্রণপত্রে। সাংসদ শিশির অধিকারী, মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী, সভাধিপতি দেবব্রত দাস, জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব সহ জেলা প্রশাসন, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলাপরিষদের কিছু পদাধিকারকারী ব্যক্তি এবং অন্যান্য সম্মানীয় অতিথিদের নাম অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্রে উল্লেখ থাকলেও কেন বিধায়ক সমরেশ দাসের নাম ছিলনা। ইতিমধ্যেই এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তাকে না ডাকার কারণ হিসেবে সমরেশবাবু বলেন, “মেদিনীপুর জেলাপরিষদ একটি দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান।”
বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে দেখে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক শুভেন্দু অধিকারী, প্রধান অতিথি শিশির অধিকারী ও বিশেষ অতিথি দিব্যেন্দু অধিকারী এই দিনের অনুষ্ঠানে আসেননি। বন মহোৎসবের যুগ্ম আহ্বায়ক জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধক্ষ্য মৃণাল কান্তি দাস ও বিভাগীয় অধিকর্তা (বন বিভাগ) স্বাগতা দাস কার নির্দেশে এ কাজটি করলেন, এনিয়েও শাসকদলের মধ্যেও উঠছে প্রশ্ন।
এব্যাপারে বিধায়ক সমরেশ দাস বলেন, “পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ একটা দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান। আমি এই দুর্নীতির প্রতিবাদ করি বলে এরা আমাকে এড়িয়ে চলে। আমি এটাকে গর্হিত অপরাধ ও নীচু মনের রাজনীতি বলে মনে করি।” এইসঙ্গেই তিনি আরও বলেন, “একজন দলীয় বিধায়ককে অসম্মান করার জন্যই শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারীরা কেউ এই অনুষ্ঠানে আসেননি।” তবে এব্যাপারে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনাটি নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যেই শুরু হয়েছে চাপান-উতর। অবশ্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, এটা তৃনমূলের দলীয় কোন্দলের বহিঃপ্রকাশ।