নিউজ ডেস্ক:- আজ আরো এক বড় ঘোষণাা মাননীয়া মুখ্যামন্ত্রী মমতা ব্যার্নাজীর একুশে জুলাই এর সভা থেকে রাজ্যবাসীর জন্য বড় ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বললেন, “আমরা ক্ষমতায় থাকলে সারাজীবন ফ্রি রেশন, স্বাস্থ্য পরিষেবা ও শিক্ষার সুযোগ পাবে বাংলার মানুষ।” আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো বললেন, “আগামী বছর বৃহত্তর ২১ জুলাই হবে।”
করোনা কালে বাধ্য হয়ে চলতি বছরে ভারচুয়ালি ২১ জুলাই পালন করছে তৃণমূল (TMC)। ভারচুয়ালি বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই এদিন করোনা (Corona Virus) ও আমফানে (Amphan) মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। রেশন নিয়ে লাগাতার যে ধরনের অভিযোগ উঠছে সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিঁধলেন বিরোধীদের। ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস দিয়ে ফের বলেন যে, প্রত্যেকেই প্রাপ্য ক্ষতিপূরণ পাবেন। এরপরই সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা যদি ক্ষমতায় থাকি, তাহলে শুধু একবছর নয়। বাংলার মানুষ সারাজীবন ফ্রি রেশন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা পাবে। টাকা কোথা থেকে আসবে সে চিন্তা করতে হবে না কাউকে। মানুষের জন্য যা করা প্রয়োজন তা-ই করব।” এর পাশাপাশি, এদিনের সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, “এবছর ভারচুয়ালি হলেও, আগামী বছর বৃহত্তম ২১ জুলাই পালিত হবে। চক্রান্ত-করোনাকে দূরে সরিয়ে সমবেত হব আমরা।”
তাও বাম-কংগ্রেস-বিজেপি একযোগে রাজ্যকে অপমান করছে। রাজ্যকে ছোট করছে বলে সরব হলেন মমতা। তিনি এদিন ভারচুয়াল সমাবেশ থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বাংলাকে অপমানের বদলা নেব। বদলা নেব মানবিকতা দিয়ে। জেনে রাখো, বহিরাগতরা বাংলাকে শাসন করবে না। বাংলাকে শাসন করবে বাংলার মানুষ। বহিরাগতরা করবে না।’
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে চলতি বছরের মার্চে লকডাউন জারি হয়েছে দেশে। একই পরিস্থিতি ছিল এরাজ্যেও। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল অফিস-কাছাড়ি। ফলত আর্থিক সংকট দেখা দেবে এই আশঙ্কা করে বিনামূল্যে রেশন বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। পরবর্তীতে লকডাউন দীর্ঘায়িত হওয়ায় রেশন বিলির সময়সীমাও বাড়ানো হয়। রাজ্য ঘোষণা করেছিল আগামী ২১ জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন বিলি হবে। এদিন সেই ঘোষণা প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েই আজীবন ফ্রি রেশন বিলির ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন নাম না করে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘কেন্দ্রে ক্ষমতায় আছে বলে গায়ের জোর দেখাচ্ছে। উন্নয়নের কথা কখনও বলে না। সারাক্ষণ শুধু সর্বনাশের কথা বলে। রাজ্যে গুন্ডামি, দাঙ্গা, আগুন জ্বালানোর কথা বলে। মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয় না।’ তিনি এদিন এনআরসি-এনপিআর-সিএএ’র প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমরা কোভিডের মধ্যে এসবের কথা ভুলিনি। দিল্লিতে দাঙ্গা করে নর্দমায় দেহ ফেলে দিয়েছে। সব জানি। কাউকে এরা প্রতিবাদ করতে দেয় না। প্রতিবাদ করলেই মুখ বন্ধ করে দেয়।’ তারপর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও বিজেপিকে তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘সারাক্ষণ কমপ্লেন করছে। দিল্লি থেকে উসকানি দেওয়া হচ্ছে খালি। বলছে, রাজ্যে নাকি আইনশৃঙ্খলা নেই। সারাদিন ধরে দাঙ্গা, গুন্ডামি, আগুন লাগানোর কথা বলে। আর বলে কিনা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নেই। উপাচার্যদের শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। ১৮টা সিট জিতে মনে করছে গোটা বিশ্ব জয় করে ফেলেছে। মানুষের জন্য কী করেছে?’