বকরি ইদে পশুহত্যা বন্ধ করতে হাই কোর্টে মামলা দায়ের অর্জুন সিংয়ের
নিউজ ডেস্ক:- কয়েকদিন আগেই মসজিদের মাইকে আজান দেওয়ার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের পিটিশন জমা দিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং,এবার আরও কয়েক কদম এগিয়ে বকরি ইদে পশুহত্যা বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করলেন অর্জুন সিং।আর কয়েকদিন পরেই বকরি ইদ তার আগে এই মামলা করে আবারও একবার খবরের শিরোনামে আসার চেষ্টা করলেন ভাটপাড়ার এই সাংসদ।দেশ ও রাজ্যের মানুষের বক্তব্যে একটা কথা একাবারে স্পষ্ট যে বিজেপি দলের যে নেতা যত বেশি মুসলিম বিদ্বেষী কথা বলবে সে ততো বড়ো নেতা,এবার দেখার বিষয় লাগাতার একটি সম্প্রদায়কে আক্রমণ করে অর্জুন সিং দিলীপ ঘোষকে ছাপিয়ে রাজ্যের সবেচেয়ে বড়ো বাহুবলী লিডার হয়ে ওঠেন কি !
কিছুদিন আগে মসজিদ থেকে মাইকে আজান দেওয়ার বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং (Arujn Singh)। এর প্রেক্ষিতে বারাকপুরের সাংসদের বিরুদ্ধে পালটা মামলা করার হুমকিও দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের শাখা সংগঠন মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ (muslim rastriya mancha)। এবার আরও এককদম এগিয়ে বকরি ইদে পশুহত্যা বন্ধ করার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন অর্জুন সিং। আর কিছু দিন পরই বকরি ইদ। তার আগে এই মামলা দায়ের করলেন বিজেপি সাংসদ।
এটাই প্রথমবার পশুহত্যার বিরুদ্ধে মামলা নয়। এর আগেও হাই কোর্টে এই মর্মে মামলা হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রথম মামলা দায়ের হয়। তখন আদালত নির্দেশ দেয়, পশুহত্যার নিয়মাবলি মানতে হবে কুরবানি ইদের সময়। কসাইখানায় পশুদের নিয়ে যাওয়ার আগে সেগুলির পরীক্ষা করতে হবে। ২০১৯ সালে ফের এই মর্মে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলাকারীর অভিযোগ ছিল, পশুহত্যার নিয়ম কিছুই মানা হচ্ছে না রাজ্যে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট রাজ্যকে সব নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দেয়।
এক সপ্তাহ পরই ইদ-উদ-জ্জোহা। তার আগে রাজ্য সরকার পশুহত্যা নিয়ে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তা জানাতে চাওয়া হয়েছে অর্জুন সিংয়ের আইনজীবীর তরফে। দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়েছেন সাংসদের আইনজীবী।
গোটা দেশ যখন করোনা মহামারি তে আক্রান্ত তখন বিজেপি সাংসদরা ব্যাস্ত সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে ।