নিউজ ডেস্ক :- এন আর সি ,এন পি আর .সি এ এ নিয়ে গোটা দেশে হয়েছিল উত্তাল । তারপর অনেকেই করা হয় অ্যারেস্ট ।এখন ও চলছে এই নিয়ে আলোচনা ।এই রকম এক পরিস্থিতি তে বাংলার এক সচেতন নাগরিক আর টি আই করে জানতে চান ভোটার কার্ড কি নাগরিকত্বের প্রমান নয়। অবশেষে উত্তর আসে ভোটার কার্ডই নাগরিকত্বের প্রমান। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিলো নির্বাচন কমিশন। তথ্য জানার অধিকার আইনের অধীনে ভােটার পরিচয়পত্র নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্নের জবাব চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রাণজিৎ দে নামে এক ব্যক্তি তার প্রশ্নের মূল বিষয় ছিল, ভােটার পরিচয়পত্র কি নাগরিকত্বের প্রমাণ হতে পারে ? জবাবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভারতের নাগরিক না হলে কেউ ভােটার পরিচয়পত্র পেতে পারেন না। তার মানে, কারও হাতে ভােটার পরিচয়পত্র থাকা মানেই তিনি যে ভারতীয় নাগরিক সেটা প্রমাণিত হচ্ছে। ওই ব্যক্তি নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চান, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকই কি দেশের সংসদীয় নির্বাচনে ভােট দিতে পারেন তার কি তথ্যপ্রমাণ রয়েছে? একমাত্র ভারতের নাগরিকই যে ভােটার পরিচয়পত্র পাবে তারই বা কী তথ্যপ্রমাণ রয়েছে? উত্তরে কমিশন জানিয়েছে, ভারতের সংবিধানের ৩২৬ নং অনুচ্ছেদে একজন ভারতীয় নাগরিককে ভােটার হিসাবে পঞ্জিভুক্ত হওয়ার কর্তৃত্ব দিয়েছে ।
কোনও লোক তখনই ভােটার হবে যখন তিনি নিজের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারবেন। ১৯৫০ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৬, ১৭, ১৮ এবং ১৯ নং ধারা অনুযায়ী কারও ভােটাধিকার পরিবর্তন করাও সম্ভব। এদিকে এতদিন ভোটার কার্ড থাকার পরেও দেশ থেকে বিতাড়িত সহ এনআরসি করা হবে বলেও দাবি করলেও নির্বাচন কমিশন ভোটার কার্ডেই ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয় বহন করার কথা বলতেই কার্যত ফাঁপড়ে পড়েছেন তারা। পাশাপাশি নিজের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণ করে যিনি ভােটাধিকার পেয়েছেন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি উন্নীতকরণের প্রক্রিয়ায় তাঁর নাগরিকত্ব কী করে সংশয়ের মুখে ফেলা যায় কিংবা সন্দেহজন বিদেশি অ্যাখ্যা দেওয়া যায়? তা নিয়েও কার্যত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, অসমে ভােটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষকে বিদেশি অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে কিন্তু একজন অবৈধ কিংবা বিদেশি নাগরিক কী করে ভারতের ভােটাধিকার কিংবা ভােটার কার্ড পান? সেটা নিয়ে অবশ্য নির্বাচন কমিশন কোনও কিছু বলেনি।