রাজস্থানে বেধড়ক মার মুসলিম অটোচালককে ‌জয় শ্রী রাম’, ‘‌মোদি জিন্দাবাদ’ না বলায়

Spread the love

‌জয় শ্রী রাম’, ‘‌মোদি জিন্দাবাদ’ না বলার ফল, বেধড়ক মার মুসলিম অটোচালককে

নিউজ   ডেস্ক:‌- আবার ও  ‘‌জয় শ্রীরাম’ এবং ‘‌মোদি জিন্দাবাদ’ –এই দুই স্লোগান না দেওয়ায় রাজস্থানের  শিকর জেলায় এক মুসলিম অটোচালককে বেধড়ক মারের অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তির নাম গপফর আহমেদ কাচ্চাওয়া। শুধু মারধর নয়, স্লোগান না দেওয়ায় হাতের ঘড়ি এবং টাকা–পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যে ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে অভিযুক্তদের পরিচয় জানা যায়নি বা তাদের গ্রেপ্তার করা যায়নি এখনও।

রাম মন্দিরের ভূমি পূজোর পর বিভিন্ন ভাবে হূমকী ধূমকী ধর্ষণ  করার হূমকী চলছে।
জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় পাশের একটি গ্রামে যাত্রী নামিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন আহমেদ। তখনই তাঁর পথ আটকায় দুই ব্যক্তি। এরপর আহমেদের কাছে তামাক চায় তারা। কিন্তু ওই অটোচালক জানান, তাঁর কাছে তামাক নেই। এরপরই ওই দুই ব্যক্তি আহমেদকে জোর করে ‘‌জয় শ্রীরাম’ এবং ‘‌মোদি জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিতে বলে। আহমেদ তাতে অস্বীকার করতেই বেরিয়ে আসে দু’‌জনের আসল রূপ। অভিযোগ, একজন সরাসরি আহমেদকে চড় মেরে বসে। এরপরই বিপদ বুঝে সেখান থেকে পালায় আহমেদ। কিন্তু দু’‌জনেই নিজেদের গাড়িতে আহমেদকে ধাওয়া করে। কিছুক্ষণ পর জগমলপুরা এলাকার কাছে এসে ধরেও ফেলে। এরপরই অটো থেকে ৫২ বছরের ওই প্রৌঢ়কে নামিয়ে চলতে থাকে বেদম প্রহার। মারের চোটে আহমেদের দাঁত ভেঙে যায়। চোখেও চোট পান। সেসময় ওই অটোচালক দু’‌জনের হাতে–পায়ে ধরেও রেহাই পাননি। ওই দু’‌জন জানায়, আহমেদকে মারতে মারতে পাকিস্তান  পাঠিয়েই থামবে তাঁরা। শেষপর্যন্ত আধমরা অবস্থায় অটোচালককে সেখানে রেখে পালায় দুই অভিযুক্ত।

এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন আহমেদ। পরে এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‌‘‌ওরা আমার দাড়ি ধরে টানে, লাথি মারে, ঘুষি মারে। ফলে আমার ২–৩টি দাঁত ভেঙে গিয়েছে। বাঁ–চোখের নিচে গুরুতর চোট লাগে। মাথাতেও ব্যথা লাগে। এখানেই শেষ নয়, আমাকে মারধর করার পর ওরা জানায়, আমাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে তবেই নাকি বিশ্রাম নেবে।’’‌

গোটা দেশে এই নিয়ে শুরু হয়েছে নিন্দার ঝড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.