আন্তজার্তিক ডেস্ক: – চীন সরকার এই আধুনিক বিশ্বে সভ্যতার বড়াই করে প্রতিনিয়ত অত্যাচার করে চলেছে উইঘুর মুসলিমদের প্রতি । এবার সেখানে মসজিদ ভেঙ্গে শৌচালয় বানিয়ে বিশ্বকে এক অশুভ বার্তা দিল । দীর্ঘদিন ধরেই উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের উপর চিন অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি নিয়ে আমেরিকার তরফে অনেকবার সমালোচনাও করা হয়েছে তাদের। শুধু তাই নয়, চিনে বসবাসকারী উইঘুরদের কাছ থেকে ধর্মাচরণের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাঁদের পাঁচ হাজারের বেশি মসজিদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছে। এবার জানা গেল উইঘুর মুসলিমদের মসজিদ ভেঙে সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ শৌচালয় (Public washroom) বানাল জিনপিং সরকার। বিষয়টি প্রকাশ্য আসার পর বিতর্ক শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়নি পাকিস্তান-সহ কোনও ইসলামিক দেশই।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের আতুশ (Atush) এলাকার সুনতাগ গ্রামের বাইরে থাকা টোকুল নামে একটি মসজিদকে ভেঙে সেখানে সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ শৌচালয় বানিয়েছে জিনপিং সরকার। তবে তার ব্যবহার এখন শুরু হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় উইঘুর মুসলিমদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না।
এপ্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে শি জিনপিংয়ের সরকার টোকুল নামে ওই মসজিদটি ভেঙে ফেলে। তার সেখানে সুলভ শৌচালয় বানিয়েছেন চিনের কমরেডরা। তবে সেটি এখনও ব্যবহারের জন্য খুলে দেওয়া হয়নি। এই এলাকার প্রতিটি মানুষের বাড়িতে শৌচালয় রয়েছে। তাই আলাদা করে শৌচালয় বানানোর দরকার না থাকলেও তা উইঘুর মুসলিমদের মনে আঘাত করার জন্যই ওই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে শুধু টোকুল মসজিদই নয় আশপাশের সমস্ত মসজিদই ভেঙে ফেলা হবে বলে সর্বক্ষণ হুঁশিয়ারি দিচ্ছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
সৌজন্য :- প্রতিদিন