থাইরয়েড : কারণ,লক্ষণ ও চিকিৎসা
স্বাস্থ্য ডেস্ক::- একজন ৩০-৩৫ বছরের মহিলা,একটা সন্তানের মা ,তার স্বামীকে নিয়ে ক্লিনিকে এসেছেন নিম্নলিখিত সমস্যা নিয়ে—
রোগীঃ
১)দেহের ওজন বেড়েই চলেছে,শরীর ভারী লাগছে৷
২)কাজে কামে এনার্জি পাচ্ছিনা৷
৩)খুব ক্লান্তিভাব ও ঘুম৷
৪)পা এর গোঁড়ালি রসা রসা বা হাল্কা ফোলা৷
৫)চোখের পাতা ও মুখ ফুলা ফুলা ভাব৷
৬)মাথার চুল খুব উঠছে৷
৭)পায়ের মাংসপেশী ব্যাথা ও কাঁমড়ানি৷
৮)মেজাজ খিটখিটে৷
৯)কোন কিছু স্মরণে রাখতে পারছিনা৷
ভুলে যাচ্ছি সহজেই৷
১০)মাসিকের অনিয়ম বা বাচ্চা আসতে অসুবিধা হচ্ছে৷
ডাক্তারবাবুঃ
ওহ আচ্ছা! কবে থেকে?
দ্রুততার সাথে প্রেসক্রিপসনে নাম,বয়স,লিঙ্গ লিখে—ওজন মেসিনে দাঁড় করিয়ে দেখলেন ৭০ কেজি৷ প্রেসক্রিপসনে সেটাও লিখলেন৷ প্রেসার মাপলেন৷ মুটামুটি ঠিক আছে৷ থাইরয়েড গ্লান্ডটা ইনসপেক্ট করে কিছু পেলেন না৷
থাইরয়ডের সমস্যা হতে পারে! কতকগুলি রিপোর্ট দিচ্ছি ,করিয়ে আসুন ৷ তখন ঔষুধ দিব৷ এখন আপাততঃ দুটো ঔষুধ দিচ্ছি৷
T3,FT3,T4,FT4,TBG,TBPA,TSH,TRH,ATPO ,
USG-thyroid gland প্রভৃতি করতে দিলেন৷
পরবর্তী সপ্তাহে বা ভিজিটে রিপোর্টগুলি দেখে ডাক্তারবাবু Hashimoto’s Thyroiditis ডায়াগনোসিস করলেন৷
Tab. Eltroxin বা Thyrox 75 দিয়ে বললেন—আবার ৩ মাস পর এসে রিপোর্ট করতে৷ আর এই ঔষুধ সারা জীবন খেতে হবে৷
রোগীঃ ডাক্তারবাবু, আমার কী অসুখ হয়েছে?
ডাক্তারবাবুঃথাইরয়েডের সমস্যা-হ্যাসিমোটোস থাইরয়েড৷
রোগীঃ ডাক্তারবাবু, এই অসুখ খুব খারাপ?
ডাক্তারবাবুঃ না না, একদমই নয়৷ এখন তো প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই এই রোগী ১-২জন করে৷
রোগীঃসারাজীবন ঔষুধ খেয়ে থাকতে হবে?
ডাক্তারবাবুঃ হ্যাঁ! একদমই ছাড়বেন না৷ ছাড়লেই আবার রিপোর্ট গন্ডগোল আসবে৷
রোগীঃকী কী খাওয়া যাবেনা?
ডাক্তারবাবুঃ কিছুক্ষন ভেবে,সবই খাবেন শুধু বাধাকপি,ফুলকপি,পুঁই শাক,চিংড়ি এই সব খাবেন না৷
রোগীঃ আচ্ছা৷ স্যার, আমার এই অসুখ কেন হল?
ডাক্তারবাবুঃ আপনার বাবা বা মায়ের এই অসুখ বা থাইরয়েড ছিল বা আছে?
রোগীঃ না ডাক্তারবাবু৷
ডাক্তারবাবুঃ আপনার ইমিউনিটি থাইরয়েড কোষগুলিকে নষ্ট করে দিচ্ছে৷ এন্টিবডি ATPO পাওয়া গেছে রিপোর্টে৷ অটোইমিউনিটির জন্য হয়৷
রোগীঃ স্যার,ওটোইমিউনিটি কী?
ডাক্তারবাবুঃ দেহের ইমিউনিটি যখন নিজের দেহের কোষকেই ধ্বংশ করে তখন তাকে অটোইমিউনিটি বলে৷
রোগীঃ ও আচ্ছা৷ ধন্যবাদ৷আবার, কবে আসব স্যার?
ডাক্তারবাবুঃ ৩ মাস পর৷
রোগী ক্লিনিক থেকে বের হয়ে গেল৷
বাড়ি গিয়ে রোগীটি নিজে নিজে একটু এদিক সেদিক খোঁজ খবর নিয়ে জানল যে, এই রোগে পরবর্তীকালে হার্টের সমস্যা,সুগারের সমস্যা,প্রেসারের সমস্যা,নার্ভের সমস্যা প্রভৃতি হয়৷ একটু শিক্ষিত হলে,হাতে এন্ড্রোয়েডে নেট থাকলে ইউটিউবে,গুগলে গিয়ে একটু পড়াশুনা করল—Hashimotos Thyroiditis search দিয়ে৷ অনেক রকম তথ্য ও পরামর্শে মাথা ঝিমঝিম করতে লাগল৷ শুধু দেখল কী কী খেলে থাইরয়েড কমে৷ দেখল ফলমূল ,শাকশব্জী বেশী খেলে অনেক আরাম পাওয়া যায়৷ একটু এক্সারসাইজ করলেও আরাম হয়৷
ডাক্তারবাবুর ঔষুধ চলল আর নিজের মত করে ডায়েটিং৷ কয়েক দিনের মধ্যেই রোগীর সিম্পটমসগুলি অনেক কমে গেল৷ রোগী খুব খুশী৷
তিনমাস পর আবার রিপোর্ট করে দেখল—TSH নর্মালে৷ বেজাই খুশি৷
বাব্বাহ! থাইরয়েডটা ভাল হল৷ ডাক্তারবাবু ডোজ কমিয়ে ৫০ এ দিলেন৷ বললেন,এটা কন্টিনিউ চলবে৷
রোগী আস্তে আস্তে খাদ্যাভ্যাস,এক্সারসাইজ ভুলে যেতে লাগল৷ ডায়েটিং এ সতর্কতা কমে গেল৷ সব খাবার খেতে লাগল৷ ডিম,মাংস,মাছ বেশী বেশী চলতে লাগল৷ ফল শব্জী কমতে লাগল৷ এই ভাবে চলতে চলতে —১-৩ মাস পরই আবার ওজন বাড়তে লাগল,পা কাঁমড়াতে লাগল,ক্লান্তিভাব আসতে লাগল ৷ আগের বহু সমস্যা রিটার্ন করতে লাগল৷ উপরন্তূ, এখন আরও বেশী মাত্রায় হতে লাগল!
রোগী ভাবল, ওষুধের ডোজ বাড়াতে হবে৷ আবার ডাক্তারবাবুর কাছে ছুটল৷ ৭৫ করে ডোজ দিলেন৷
কিছুদিন খাবার পরও আর কমছেনা সেরকম৷ রোগী চিন্তিত! ঔষধে কাজ হচ্ছেনা কেন? বড় শহরে বা আরও বড় ডাক্তারকে দেখাতে স্বামীকে চাপ দিতে লাগল৷ গেল সেখানেও৷ ঔষুধ একই৷ সাময়িক মনে হচ্ছে সিমপটমস কমছে,কিন্তূ এক্বেবারে যাচ্ছেনা৷
মনে মনে ভাবছে—হায়রে,কত মেয়ে সুস্থ শরীরে দিব্যি সংসার করছে৷ আর আমি? আমার দেহটা কেন এমন হল? কেন আমার ইমিউনিটি এত খারাপ? আল্লাহ কী আমাকেই দেখতে পেল? এত অল্প বয়সে , থাইরয়েডের অসুখে আমি ভুক্তভোগী৷ সারাজীবন বইতে হবে৷ নাজানি,আরও কত অসুখ অপেক্ষা করছে!!!
আমার দেহটা এতটাই খারাপ!!!!!
মুটামুটি এরকম চিত্র—আমরা প্রায়শঃ লক্ষ্য করি৷ ডাক্তারবাবুরাও তাঁদের মেধা জ্ঞানের সর্বস্ব দিয়ে রোগীকে সুস্থ রাখতে আপ্রান চেষ্টা করছেন৷ তথাপি, রোগীটা সুস্থ হচ্ছেনা!! কেন? আল্লাহ না চাইলে কেই বা সুস্থ হবে?
তর্কের খাতিরে মেনে নিলাম, আল্লাহর ইচ্ছা নেই বিধায় আপনার থাইরয়েড ভাল হচ্ছেনা! কিন্তূ, এমন একজনও কী নাই?যার জন্য আল্লাহ সূস্থতার ইচ্ছা করেন না৷
থাইরয়েড নিয়ে একজনও পরিপূর্ণ সুস্থ হয়েছেন—এমন তো জ্ঞানতঃ রেকর্ড নাই!!!!
“আল্লাহ এমন কোন রোগ পাঠান না যার চিকিৎসা সঙ্গে পাঠান না; যখন সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করা হবে তখন আল্লাহর ইচ্ছায় অসুখটি সেরে যাবে৷ ”
(সহীহ মুসলিম)
এই বাণী মোতাবেক, তাহলে ঔষধ সঠিকভাবে প্রয়োগ হচ্ছেনা৷ আর ঔষুধ সঠিক প্রয়োগ ততক্ষন সম্ভব নয় যতক্ষন রোগটির সত্য ও সঠিক কারণ না জানা যাবে৷
অধিকাংশ ডাক্তারবাবুদের মনের মধ্যে এই রকমভাবে বাঁসা বাধছে এক অজানা শুন্যতার,এক অজ্ঞাত অপরিপূর্ণতার৷ মেডিক্যাল সায়েন্সের অটোইমিউনিটি ও জেনেটিক তত্বের উপর বহু গবেষণা ও ইনভেষ্ট করছে৷ এক অজানা অন্ধকারে, অসফলতার কুঁড়েঘরে মোটামোটা বই এর পাতাগুলি বিচরন করছে৷ তথাপি, রোগীর রোগ ঠিক হচ্ছেনা৷ আসলেই যে, এই দুটো তত্বের মূল ভিত্তি বাস্তবতা থেকে বহু দূরে—সেটি আর কেউ ধরতে পারলেন না৷ আসলেই, এই দুটি তত্ব হাজার হাজার অসুখের পরিপূর্ণ সূস্থতার পথে বাধা—সেটা কেউ অনুধাবন করল না৷
” A problematic thyroid is yet ONE MORE SYMPTOM of something much larger than this one small gland in the neck.It’s something much more pervasive in the body,something invasive,that’s responsible for the laundry list of symptoms and conditions attributed to thyroid diseases.”
স্বাস্থ্য-ক্ষেত্রে, নতুন হট টপিক হল—থাইরয়েড৷ সমস্ত বয়সের শিশু থেকে বুড়ো বিশেষ করে মহিলারা বেশী আক্রান্ত হচ্ছে৷ সকল মানুষের চিন্তা-চেতনাতে এই বিশ্বাস প্রোথিত যে, থাইরয়েডের জন্য—
ফ্যাটিগ বা দূর্বলতা,ওজন বৃদ্ধি,মাথা ঝিমঝিম,ভূলে যাওয়া,ব্যাথা-যন্ত্রনা,হাত-পায়ে শিরশির করা বা ঝিমঝিম করা,কাঁমড়ানি,ঘুমের সমস্যা,চুল উঠা,বডি হিট হওয়া,ঠান্ডা সহ্য করতে না পারা,বুক ধড়পড় করা,সেক্সুয়াল ড্রাইভ কমে যাওয়া,সোলিয়াস মাসলে ক্রাম্পিং পেইন ইত্যাদি নানা শারিরীক সমস্যা হয়৷
কিন্তূ, থাইরয়েডের সমস্যা-সকল শারিরীক সমস্যার জন্য চূড়ান্তভাবে দায়ী নয়৷ বরং, থাইরয়েডের সমস্যাটি যে কারন থেকে হচ্ছে সেই একই কারণ দেহের অন্যান্য সমস্যা তৈরী করছে৷
সত্যিকার ও সঠিক কারণ হল—EBV যখন থাইরয়েড গ্লান্ডে আক্রমন করে তখন রিপোর্ট TSH,T3,T4 প্রভৃতিতে গন্ডোগোল আসে৷ ৯৫% থাইরয়েড সমস্যার জন্য EB ভাইরাস দায়ী৷ ৫% থাইরয়েডের জন্য রেডিয়েশন দায়ী৷
কোন ব্যাক্তি আগে থেকে কোন রোগে ভুগলে,সেটাকে থাইরয়েডের ট্রিগার ফ্যাক্টর বলা বা বিভিন্ন শারিরীক সমস্যার জন্য থাইরয়েডকে দায়ী করা সঠিক কথা নয়৷ এই ভাইরাসটি তৃতীয় স্টেজে থাইরয়েড গ্লান্ডকে এট্যাক করে৷
প্রথম ও দ্বিতীয় স্টেজে লিভারের ,তলপেটের,নার্ভের,মাংশপেশীর,ওজনের,চুলের সমস্যা তৈরী করে৷
বর্তমানকালে, প্রায় প্রত্যেক মানুষের দেহেই এপসটেইন বার ভাইরাস (EBV) এর ৬০ রকম স্ট্রেইনের এক বা একাধিক ,বিভিন্ন শক্তিমাত্রার এক্টিভিটি ও সক্রিয়তা নিয়ে লিভারে,স্প্লিনে,লিম্ফ্যাটিকসে,ব্লাডে,ইনটেস্টিনে,বিভিন্ন অর্গানে আছেই আছে৷ তাছাড়াও , সিন্জলস ভাইরাসের ৩০ রকম ভ্যারাইটির এক বা একাধিক আছে৷ সঙ্গে অবশ্যই কো-ফ্যাক্টর স্ট্রেপটোকক্বাই থাকবে৷ একজন স্বাভাবিক ইমিউনিটি সম্পন্ন লোকের দেহ যার খাদ্যাভ্যাসে শব্জী ও ফল যথেষ্ট পরিমাণে থাকে এবং পাশাপাশি ডিম বা ইনফ্লামেটরি ফুড খুব পছন্দ করেন না—তাদের দেহে এই জীবানুগুলি নিঃস্ক্রিয় থাকে৷ ডর্মান্ট অবস্থায় লিভারে পুন্জিভূত থাকে৷ আমাদের খাদ্য ও পাণীয়তে মিশে থাকা অফূরন্ত বিষ যেমন-মার্কারী,কপার,এলিমিনিয়াম,আর্সেনিক,নিকেল,ক্যাডমিয়াম প্রভৃতি যেগুলি শস্য ,শব্জী ও ফল চাষে ব্যবহৃত পেষ্টিসাইড,হার্বিসাইড,ফাঙ্গিসাইড,ইনসেক্টিসাইড,কেমিক্যাল ফার্টিলাইজার প্রভৃতিতে প্রচুর থাকে৷ এগুলি আমরা প্রতিনিয়ত গ্রহণ করছি বাধ্যতামূলকভাবে৷ ঐ বিষগুলি পোর্টাল ভেইন দিয়ে লিভারে খাদ্যকণার সঙ্গে যাচ্ছে৷ লিভার চেক করে উপকারী খাদ্যকণা সংরক্ষন করছে৷ বিষগুলির নিজস্ব অক্সিডাইজিং পাওয়ার,লিপোফিলিসিটি লিভারকে অনেকটা অক্ষম করে দেয়৷ লিভার সম্পূর্ণরূপে বিষগুলি পিত্ত দিয়ে বের করতে সক্ষম হয়না৷ কিছুটা লিভারের লবুউলে জমতে থাকে৷ এই বিষের মাত্রা লিভারে বেশী হলে এবং বিভিন্ন ট্রিগার ফ্যাক্টর ( নিচে আলোচিত) আসতে থাকলে ঐ জীবাণুগুলি সক্রিয় হয়৷ পুষ্ট ও বংশবৃদ্ধি করে লিভারকে আরও স্যাচুরেট করে ও নানা সমস্যা তৈরী করে৷ তার উপর, জীবনে ক্রনিক স্ট্রেস থাকলে সুপ্রারেনাল গ্লান্ড থেকে প্রচুর টক্সিক ও এসিডিক এড্রিনালিন সিক্রেসন হয়৷ এই এক্সসটেড এড্রিনালিন বা গুণসম্পন্ন পর্যাপ্ত এড্রিনালিনের অভাবে মাথার চুল পড়ে,ক্লান্তিভাব ও এনার্জিলেস লাগে৷ এড্রিনালিন নিঃশেষ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেক্সস্টেরয়ডও কমে যায়৷ টেস্টেষ্টেরণ,প্রজেষ্টেরন,ইস্ট্রোজেন প্রভৃতি কমলেও চুল পড়বে, সেক্সুয়াল ড্রাইভ কমে যাবে বা সেক্সে অনীহা জন্মাবে৷
সেলফোন,মুঠোফোন,প্লেন,এক্স রে, রেডিয়েসন থেরাপি,সিটিস্ক্যান প্রভৃতি তেজস্বি কণাগুলিও থাইরয়েড কোষগুলিকে সরাসরি নষ্ট করে৷
লিভার স্যাচুরেট হলে, এক্সেস ফ্যাট বা ক্যালোরি বডির অন্যান্য এডিপোজ ট্যিসুতে জমে৷ তখন ওজন বাড়ে৷ এক্ষেত্রে, ক্রনিক স্ট্রেস থাকলে ও লিভারকে ক্ষতি করে এমন২৩ রকমের ফ্যাক্টর এক্সপোজ হলেও ওজন বাড়াতে সহায়তা করে৷
হেভি মেটিলগুলি ও ভাইরাস নিজেই ও তার সঙ্গে ভাইরাসের বাই প্রোডাক্ট বন্ডিং করে যে যৌগ তৈরী করে (নিউরোটক্সিন-মার্কারী) সেটি বিভিন্ন নার্ভে ইনফেকসন ও ইনফ্লামেশন হয়৷ নার্ভগুলি ইরিটেট ও সেন্সিটিভ হয়ে যায়৷ ট্রাইজেমিন্যাল নার্ভে হলে-মাইগ্রেন
ফেসিয়াল নার্ভে হলে-বেলস পল্সি
ভেগাস নার্ভে হলে-প্যালপিটেশন,শ্বাস নিতে বাধক
গ্লোসোফ্যারিন্জিয়াল হলে-জিভ শুকিয়ে যাওয়া প্রভৃতি হয়৷
ব্রেনে ঐ নিউরোটক্সিন ও হেভি মেটাল চলে গেলে -নিউরোট্রান্সমিটারের সর্ট সার্কিট হয়৷ মার্কারী রিপ্লেস হলে যাবতীয় ব্রেনের সমস্যা হবে৷ নিউরোটক্সিন ব্রেনের নিউরোনগুলি ইনফ্লেমড করলে মাথার ঝিম ঝিম,ভূলে যাওয়া, এন্জাইটি,ডিপ্রেসন প্রভৃতি হতে থাকে৷ পেরিফেরাল বিশেষ করে পায়ের ফেমোরাল,টিবিয়াল,স্যাফেনাস নার্ভ ইনফেকশন ও ইনফ্লেমড হলে নিউরোপ্যাথিক পেইন হয়৷ নার্ভগুলি ফুলে থাকে,ডিজেনেরেট করতে থাকে৷ এই ভাবে বডির যে কোন নার্ভেই হতে পারে৷ নার্ভগুলি হাইপারএক্টিভ থাকে বলে ঠান্ডা সহ্য করতে পারেনা৷ হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় যখন নিউরোটক্সিনগুলি পেরিফেরাল ভেসোকনস্ট্রিকশন করে৷
লিভার কনজেষ্টেড,ডিসফাংশনাল হয়ে পড়ে ঐ সকল বিষ ও জীবাণুর উৎপাতে৷ ফলে, গ্যাসের ,পেটের সমস্যা,হজমের সমস্যা থাকতে পারে৷ প্রেসার ও সুগার জীবনের কোন এক পর্বে আসতে পারে৷ লিভার স্যাচুরেট থাকে বলে ব্লাডের ফ্যাটও বাড়তে পারে৷
এই ভাইরাসটি নিম্নলিখিত ট্রিগার ফ্যাক্টরগুলি পেলে-দ্বিতীয় স্টেজ থেকে পরবর্তী স্টেজে আরও শক্তি সন্চয় করে থাইরয়েডে এটাক করে৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, থাইরয়ড গ্রন্থির মূল কাজ হল -বডির ডাটা সেন্টার হিসাবে কাজ করা৷ অন্যান্য সকল অঙ্গ ও কোষের কিছু হলে হোমিস্ট্যাসিস করা৷ ব্লাডের ইমিউনিটি ব্যালান্সে রাখা৷ বডি টেম্পেরচার নিয়ন্ত্রন করা৷ ব্লাডে T4 কম হলে এমন কিছু সমস্যা হয় না৷ বডি এডজাষ্ট করে নিতে সক্ষম৷ তবে, T 4 খুব কমে গেলে হাল্কা বডি টেম্পরেচর হেরফের হয়, ইমিউনিটি দূর্বল হয়ে ঘন ঘন সর্দি কাশি,ফোঁড়া পাঁচড় হতে পারে৷
TSH রিপোর্ট বেশী বা কম থাকলে বিশেষ কিছুই হয় না৷
এখন, মানুষটির দেহে ভাইরাসটির কোন ভ্যারাইটি ও কী শক্তিমাত্রার এবং দেহে জমে থাকা বিষের পরিমাণ ও শক্তিমাত্রার উপর নির্ভর করছে—থাইরয়েড গ্লান্ডকে কীভাবে এট্যাক করবে৷ কী রকম ক্ষতি করবে৷ এই ভিন্নতাই হাইপো,হাইপার,কলয়েড,হ্যাসিমোটোস,গ্রেভস,টিউমর,ক্যান্সার প্রভৃতি তৈরী করে৷ ভ্যারাইটি অনুযায়ী কিছু কিছু সিম্পটমস একটু হেরফের হয়৷
ট্রিগার ফ্যাক্টরঃ
১)মোল্ড:
২)মার্কারী বেসড ডেন্টাল এমালগাম:
৩)মার্কারী যে কোন ফর্মে:
৪)জিঙ্ক ডেফিসিয়েন্সি:
৫)B12 deficiency:
6)পেষ্টিসাইড ও DDT:
৭)Insecticides in Home:
৮)মানসিক আঘাত:
৯)বিশ্বাসঘাতকতা:
১০)ভাইরাস ফ্রেন্ডলি প্রেসক্রিপসন ঔষুধ:
১১)খুব বেশী বেশী ড্রাগ খাওয়া:
১২)মেজর হরমোনাল চেন্জ টাইম: Puberty,pregnancy,childbirth, যখন রক্তে প্রচুর হরমোনাল বৃদ্ধি ঘটে৷ আর এই হরমোন ভাইরাসের উৎকৃষ্ট খাবার৷ ফলে, ভাইরাস স্ট্রং হয়৷
১৩)আর্থিক সঙ্কটের চাপ:
১৪)ফিজিক্যাল ইনজুরি:
১৫)কার্পেট ক্লিনিং এন্ড এক্সপোজিং: ক্লিনিং এজেন্ট ইমিউনিটি দূর্বল করে থাকে ও মোল্ড থাকে ৷
১৬)ফ্রেস পেইন্টিং:
১৭)অনিদ্রা:
১৮)পোঁকা বা মৌঁমাছি কামড় বা দংশন:
প্রভৃতি৷
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য—Your body does not attack itself.The anti bodies ATPO ,in fact,your saving grace.
They are not going after your thyroid—they do not cause any damage to the gland on any level.These antibodies are created by your immune system to target the true trouble-maker: EBV.
আরেকটি কথা বলতেই হয়—Thyroxine যেটা দৈনিক খালিপেটে রোগীকে খেতে হয় ,সেটা স্টেরয়েড৷ থাইরয়েড গ্লান্ড শুধুমাত্র T 4 তৈরী করেনা৷ আরও এমন বহু কাজ করে যেগুলি দেহের জন্য প্রয়োজন৷ বাহির থেকে ব্লাডে মুখে খাওয়ার মাধ্যমে যে T 4 প্রবেশ করানো হচ্ছে তাতে রক্তের T4 লেবেলটা নর্মালে আসে বলে TSH টা রেন্জের মধ্যে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসে৷ TSH নর্মাল হওয়া মানেই থাইরয়েডের সমস্যা ঠিক হওয়া নয়৷ প্রকৃতপক্ষে, TSH বেশী বা কম থাকলেও কোন কিছুই করার দরকার নেই৷ বরং মূল কারণকে সরাতে সচেষ্ট হতে হবে৷ যেহেতু, থাইরক্সিন একটি স্টেরয়েড ও হরমোন, সেহেতু এতেও ঐ জীবাণুটি শক্তিসন্চয় করে৷ ফলে, গ্লান্ডের মূল সমস্যা আরও বৃদ্ধি পাই৷ অথচ,রক্তে TSH ও T 4 নর্মাল দেখায়৷
তাই, থাইরক্সিন মেডিকেসন এড়িয়ে চলাই উত্তম৷
এক সময় গয়টার বা হাইপোথাইরয়েডের জন্য ‘আয়োডিনের অভাব’ কে মনে করা হত৷ থাইরক্সিন তৈরীতে আয়োডিন লাগেই এটা সত্য৷ কিন্তূ, আয়োডিনের অভাবেই গয়টার হয়—এই ধারণা পরিপূর্ণ সত্য ছিলনা৷ আয়োডিন একটি ট্রেস মিনারেলস যেটি আমাদের দেহে অতি অল্প মাত্রায় অতীব প্রয়োজন৷ দেহের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে দরকার৷ ইন্টারনাল বডিতে এন্টিসেপ্টিক হিসাবে কাজ করে৷ যে কোন মাইক্রোবসকে কিল করে৷ দেহের মধ্যে আয়োডিন কম থাকলে নানাবিধ ক্রনিক লো গ্রেডের ইনফেকসন জারি থাকে৷ যেমন-UTI,chronic sinus infection,boils,ulcer,H pylori infection,cold, tonsillitis,bronchitis,styes,chronic cough etc.
আবার,আয়োডিনকে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে জিঙ্ক খুব দরকার৷ Zinc Synergistically ignites Iodine and make it bio active and bio available.
ফলে,জিঙ্ক ডেফিসিয়েন্সিও থাইরয়েড প্রবলেব তৈরী হতে সহায়ক৷ Zinc deficiency is one of triggers of all triggers of viral issues.
থাইরয়েডের চিকিৎসাঃ
যদি টিউমর,ক্যান্সার বা মাস হয়ে অলরেডি নানা কম্প্লিকেশন তৈরী হয়ে যায়, তবে সেক্ষেত্রে সার্জিক্যাল ম্যানেজমেন্ট জরুরী৷
আর যদি, রোগীর স্থিতিশীল অবস্থা থাকে তবে থাইরয়েডের যে কোন সমস্যার জন্য স্ট্রাটেজি হল—
১) EBV কে নষ্ট করা বা কিল করা৷ ডেড ভাইরাস ও তাদের বাইপ্রোডাক্ট থাইরয়েড গ্লান্ড,ব্লাড,লিম্ফ,লিভার প্রভৃতি থেকে বের করা৷
২)হেভি মেটাল যাতে দেহে কম প্রবেশ করে তার ব্যবস্থা করা৷ যেগুলি রক্তে,লিভারে,লিম্ফে অলরেডি আছে সেগুলি বের করা৷ দৈনিক খাবারের মাধ্যমে যে বিষ ঢুকছে সবরকম সতর্কতার পরেও সেগুলি দৈনিক বের করে দেওয়া৷
৩) এতদিনে থাইরয়েড গ্লান্ডে যে ক্ষতি বা ড্যামেজ হয়েছে সেগুলি রেপেয়ারে হেল্প বা সাপোর্ট করা৷
৪)রেডিয়েশনের এক্সপোজার কমিয়ে আনা৷ অথবা, তেজস্বি কণা রিমুভার ফুড ডেলি খাওয়া৷
নিষিদ্ধ খাবারঃ—
***Cruciferous vegetables such as kale,cauliflower,broccoli,cabbage,collard green and more have gotten bad reputation for thyroid. কিন্তূ,প্রকৃতপক্ষে এগূলোর কোনটিতেই ঐ পরিমাণ Goiter-causing compounds নেই যেটা থাইরয়েডের সমস্যা তৈরী করতে যথেষ্ট হবে৷ বরং এই সকল শব্জীতে এমন কিছু ফাইটোকেমিক্যাল থাকে যেগুলি গয়ট্রোজেনের ক্ষতির প্রভাব নিউট্রাল করে দেয় এবং এমন কিছু নিউট্রিয়েন্ট এই সব শব্জীতে থাকে যেগুলি থাইরয়েড গ্লান্ডের প্রয়োজন৷ তাই, এই জাতীয় শব্জী থাইরয়েডের সমস্যাতে খাওয়া ক্ষতিকর নয় বরং খুবই উপকারী৷
a) যে সকল খাবার EBV কে ফিডিং ও শক্তিশালী করে —সেগুলি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতেই হবে৷
ডিম:Eggs are the top food to avoid with EBV, because they are the viruse’s number one food source.
b)Diery: diery protein is EBV’s second favorite food. চিজ,পনির,মাখন,দই,ক্রিম,কেফির,ঘি, ছানা প্রভৃতি দুধজাতীয় খাদ্যদ্রব্য বাদ দিতে হবে৷
c)গ্লুটেন: Gluten containg food বা গম জাতীয় দ্রব্য যে কোন ভাইরাস বা জীবাণুকে শক্তি সরবরাহ করে৷ GMO wheat হলে আরও বেশী ক্ষতি করে৷ এগুলি বাদ দিতে হবে৷
d)যে কোন Inflammatory oil either non -GMO or GMO : Canola, Corn,Sunflower,palm, soyabaen,Rice bran, cotton seed etc যে তেলগুলি EBV কে ইন্সিটিগেট ও ফুয়েল দান করে তাদের এড়িয়ে চলতেই হবে৷ এক্ষেত্রে, খাঁটি শরষে ভাঙিয়ে তেল বা Extra virgin Olive oil বা যায়তুন তেল ব্যবহার করা অতি উত্তম৷
e) পর্ক মাংস: অতি ফ্যাট ব্লাডের অক্সিজেন কমিয়ে দেয়৷ ব্লাডের এসিডিটি বাড়ায়৷ বিভিন্ন জীবাণুর অনুকূল পরিবেশ তৈরী হয়৷ অতি অল্প পরিমাণে দেশী মুরগী,গরু বা ছাগল চর্বীছাড়া ২-৩ পিস সপ্তাহে ২-৩ দিন খেতে পারেন৷
*** সমস্ত রকম শব্জী ( যতটা সম্ভব বিষমুক্ত করে),ফল, বিষমুক্ত মাছ, পুকুরের ও নদীর ছোট মাছ, ভাত,মুড়ি,চিড়া প্রভৃতি যথেচ্ছা খেতে পারেন৷
Healing foods,Herbs যেগুলি যতটা সম্ভব ,যেটা সম্ভব খাদ্য তালিকায় এড করতে হবেঃ—
Artichoke: থাইরয়েডের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে সবচেয়ে উপকারী বন্ধু হল—আর্টিচোক৷ আর্টিচোকের নিউট্রিয়েন্ট ও ফাইটোক্যামিকেল থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে পুরো বডির হোমিস্ট্যাসিস করতে দারুনভাবে সহায়তা করে৷ আর্টিচোকের মধ্যে থাকা isothiocyanate —থাইরয়েডের নডিউল,সিস্ট,টিউমর বা অন্য যে কোন অর্গানের সিস্টকে সঙ্কুচিত ও ছোট করতে সহায়তা করে৷ এটি হিউমান সেলের মধ্যে থাকা এন্টিটিউমর ফ্যাক্টরকে ট্রিগার করে৷এছাড়া, আর্টিচোকে টাইরোসিন থাকে যেটা থাইরক্সিন বা থাইরয়েড হরমোন তৈরীতে সহায়তা করে৷ উপরন্তূ, আর্টিচোক লিভারকে নিউরোটক্সিন,ডার্মাটোটক্সিন ডিটক্স করতে সহায়তা করে৷
‘Unforgiving Four’ —DDT , Heavy metals,viral explosion and radiation দেহ থেকে দূর করতেও সহায়তা করে৷
তাই, প্রত্যেক থাইরয়েডের রোগীকে বা সাধারণ লোকেদের বর্তমান পরিবেশ অনুযায়ী, Artichoke খাওয়া জরুরী৷
এক্ষেত্রে, এই শব্জীটির নির্যাসকে পাউডারী ফর্মে ক্যাপসুল আকারে পাওয়া যায়৷ AS-SHIFA® Artichoke 526 mg ক্যাপসুল গ্রহণ করা উত্তম৷ দৈনিক প্রয়োজন অনুপাতে ২-৪ টা ক্যাপসুল খেতে হবে৷
আর্টিচোকের সাথে নিচের যে কোন দুই বা ততোধিক খাদ্য এড করলে ,খুবই ভাল ফল মিলবে—
*Aloe vera *Apples *Arugula *Asparagus *Avocado *Banana *Basil *cauliflower *celery *cilantro *coconut *cruciferous vegetables *Cucumber *Dates *Figs *Garlic *Ginger *Lemon *Lettuce *Mangoes
*onions *oranges *papayas *parsely * pears * pomegranates *potatoes *Radishes *Raw Honey *sesame seeds *Spinach *sprouts and microgreens *squash *sweet potatoes * Thyme *Tomatoes *Turmeric *Wild blue berry .
:Healing Herbs and Supplements:—
থাইরয়েডের সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে নিচের দুই বা ততোধিক সাপ্লেমেন্টস দৈনিক নির্দিষ্ট ডোজে খেতে হবে৷ কোনটা নিতে হবে সেটা রোগীর অবস্থার উপর নির্ভরশীল৷
*Vitamin B12 *Zinc *Vitamin C * Spirulina( for Iodine and heavy metal removing) brand- AS-SHIFA ® উৎকৃষ্ট মানের ও দামেও শ্রেয়৷ * Cat’s Claw *Licorice root *Lemon Balm *L-lysine *Chaga Mushroom * 5-MTHF * L -tyrosine * Aswagandha *Nettle leaf * B-complex *Magnesium *EPA & DHA *Selenium *Curcumin *chromium *Vitamin D3 *Manganese *
Bacopa monnieri.
উপরিউক্ত পথ ও পদ্ধতিতে , খাদ্যাভ্যাসে থাইরয়েডের সমস্যা ও অন্যান্য সিম্পটমস সবগুলি আস্তে আস্তে চলে যাবে ইনশাল্লাহ৷
এর পরও ৯০ দিনের থাইরয়েড রিহাব ( 90 days Thyroid Rehab) জারি রাখলে আরও দূর্দান্ত ফলাফল মিলবে ইনশাল্লাহ৷
প্রথম ৩০ দিনঃ— উপরের সকল নিয়মের পাশাপাশি নিম্নলিখিত খাদ্যতালিকা যুক্ত হবে:
#সকালে খালিপেটে ১৫০-২০০ মিলি ফ্রেস জোয়ান কান্ডের জ্যুস খাওয়া অতীব জরুরী৷ জোয়ান গাছ যেহেতু আমাদের দিকে সেরকম চাষ হয়না,তাই বাড়িতে টবে,ছাদে বা জমিতে জোয়ান গাছের চাষ করতে শুরু করুন৷ It’s a wonder food. It’ alkalizing,enzyme-rich,electrolyte enhancing,DNA repairing,blood sugar balancing,antiseptic, & more.
#এক গ্লাস জলে ১-২ টা কাজগী লেবুর রস মিশিয়ে লবণ চিনি ছাড়া দুপুরে ও বিকালে পাণ করুন৷ খাওয়ার আগে বা পরে৷
#দুটো শশার জ্যুস (খোসা ছিলে)বা ২ ইন্চি সাইজের এলোভেরার জেলি ১ গ্লাস জলে মিশিয়ে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সন্ধায় পাণ করুন৷
দ্বিতীয় ৩০ দিনঃ—
#সকালে খালিপেটে জোয়ান জ্যুস একই নিয়মে৷
#একই নিয়মে লেবু জল
#বিকালে ১ গ্লাস জলে ২-৩ ইন্চি আদার রস মিশিয়ে মধুর সাথে পাণ করুন৷
#সন্ধায় এলোভেরা বা শশা একই নিয়মে৷
# দিনের যে কোন সময়ে Heavy Metal Detox Smoothie খেতে হবে৷
( ২ টো কলা,২ কাপ ব্লু বেরী,১ কাপ সিলান্ত্রো,১ চামচ বার্লি গ্রাস জ্যুস পাউডার,১চামচ স্প্রীলুনা,১চামচ ডালস,১টা কমলা,১ কাপ জল) মিক্স ও গ্রিন্ড করে সারাদিনে অল্প অল্প করে ঘন ঘন ১-২ ঘন্টা পরপর খেতে হবে৷
তৃতীয় ৩০ দিনঃ—
#সকালে খালিপেটে জোয়ান জ্যুস আগের মতই৷
#দুপূর ও বিকালে লেবু জল আগের মতই৷
#যে কোন সময়ে আদা জল আগের মতই৷
#সন্ধায় থাইরয়েড হিলিং টি
(২ কাপ জল,১ চামচ থাঈম,১চামচ ফেনেল সিড,১চামচ লেমন বাম,২চামচ মধু)
#থাইরয়েড হিলিং Smoothie
( ২ কাপ ফ্রেস ম্যাঙ্গো জ্যুস,১ পিস কলা,১ কাপ জল) মিশিয়ে গ্রিন্ড করে দিনের যে কোন সময় খেতে হবে৷
# থাইরয়েড হিলিং Broth
( ২ পিস মিষ্টি আলু,২পিস জোয়ান গাছের কান্ড,২ পিস পিঁয়াজ,৬ পিস রসুন কোয়া,১ ইন্চি হলুদ থেতো,১ইন্চি আদা,থাইম,ডালস,৮ কাপ জল)
সব গ্রিন্ড করে স্যুপ টাইপের করে রান্না করে খেতে হবে দুপুরে বা রাত্রে৷ লান্চ বা ডিনার বন্ধ থাকবে৷
#থাইরয়েড হিলিং জ্যুস
( ১-৩টা জোয়ান গাছের কান্ডের জ্যুস,২ পিস আপেল,১ বান্ডিল<৫০-১০০গ্রাম>ধনে পাতার রস,২-৪ ইন্চি আদা)
সবগুলির জ্যুস মিশিয়ে সন্ধায় বা বিকালে পাণ করতে হবে৷
উপরিউক্ত নিয়মাবলী ও খাদ্যাভ্যাস, ফুড সাপ্লেমেন্টস ও নতুন নতুন রান্নার আইটেম যতটা সম্ভব পালন করার চেষ্টা করুন৷ যেগুলি available সেগুলি দিয়েই মেনে চলুন৷ যত বেশী পালন করতে পারবেন তত বেশী সূফল পাবেনই ইনশাল্লাহ৷
সঠিক ও ধৈর্য্য সহকারে নিয়মাবলী মেনে চললে, ৩ মাসেই রোগীর যাবতীয় সমস্যা সম্পূর্ণ দূরীভূত হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ৷
একটু কষ্ট হলেও মানার চেষ্টা করুন৷ থাইরয়েডের বেড়াজাল থেকে ও ভবিষ্যতে সকল অবশ্যম্ভাবী কমপ্লিকেসন থেকে নিজেকে,নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখতে আপনাকে উপরিউক্ত পরামর্শ মানা ছাড়া অন্য কোন পথ নেই৷
হিজামাঃ—এক্ষেত্রে, থাইরয়েড গ্লান্ডের দুই পাশে ও পিঠের C7 ভার্টিব্রার উপরে সুন্নত ডেটে হিজামা করলে আরও চমকপ্রদ ফলাফল অল্প সময়েই পাবেন৷ থাইরয়েড গ্লান্ডের ট্যিসু ও এক্সট্রাসেলুলার স্পেসে, লিম্ফে,ক্যাপিলারিতে অবস্থিত EBV, তার বাইপ্রোডাক্ট,ডেড ভাইরাস,হেভি মেটালস প্রভৃতি খুব দ্রুত ও সহজেই হিজামার মাধ্যমে নিষ্কাষণ করা যায়৷ আবার, লোকাল সার্কুলেশন (ব্লাড ও লিম্ফ) বৃদ্ধি পায় বিধায় থাইরয়েড ট্যিসুর হিলিং দ্রুত হয়৷ ফলে হিজামা Adjuvant থেরাপি হিসাবে অত্যান্ত উপকারী ও ফলদায়ক৷
আল্লাহ সকলকে সুস্থ রাখুন৷ সকলকে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক ও সত্য জানার ও বুঝার তৌফিক দান করুন৷
লিখনে- Dr. Md Year Ali Sk