প্রবল চাপে পড়ে গ্রাহকদের তিন মাসের বিদ্যুতের বিল মুকুব করল সি ই এস সি
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : লকডাউনের মধ্যে ভূল-ভাল, ত্রুটি-যুক্ত ও অস্বাভাবিক হারে বেশি বিদ্যুতের বিল পাঠিয়ে আমজনতার চাপের মুখে পড়ে গিয়েছিল সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সি ই এস সি কতৃপক্ষ। বিদ্যুৎ গ্রাহক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিক্ষোভে উত্তাল হয়েছিল সি ই এস সি-র দফতরগুলো। গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছিল সি ই এস সি-র কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে। নানাদিক থেকে প্রবল চাপে পড়ে শেষমেষ বুধবার সি ই এস সি-র পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, “মার্চ, এপ্রিল ও মে এই তিন মাসের বকেয়া বিল মুকুব করা হল।”
প্রসঙ্গত: লকডাউনের মধ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছে মার্চ মাসের বিল অস্বাভাবিক হারে বেশি পাঠিয়েছিল সি ই এস সি। এনিয়ে চারিদিকে শোরগোল পড়ে যায়। এমনকি খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও বাদ যাননি। তার বাড়িতেও গিয়েছিল আকাশছোঁয়া বিদ্যুতের বিল। বেশ কিছু ভুয়া বিল নিয়ে সংবাদ মাধ্যমও সোচ্চার হয়। সাধারণ মানুষও ক্ষেপে যান তাদের অফিস-বাড়ি কিংবা দোকানের বিদ্যুৎ বিল দেখে। ক্ষোভে ফেটে পড়ে আমজনতা।
বিক্ষোভে সামিল হয় রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সহ রাজ্যের মানুষ। মিটিং-মিছিল-অবরোধে প্রবল চাপে পড়ে যায় সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সি ই এস সি। রাজ্য সরকারের কাছে অনেকেই দাবি তোলে বিদ্যুতের এই মনোপলি ব্যবসা ভেঙ্গে দেওয়া হোক। বিপাকে পড়ে শেষপর্যন্ত তিন মাসের বিদ্যুতের বিল মুকুব করতে বাধ্য হয় সি ই এস সি। তাদের পক্ষ থেকে এইসঙ্গেই জানিয়ে দেওয়া হয়, যারা ইতিমধ্যেই কোনও বিল পেমেন্ট করেছেন, তাদের বিল পরবর্তী মাসে এ্যাডজাস্ট করে দেওয়া হবে।