ওয়েব ডেস্ক :- এ কেমন আচ্ছে দিন ,এ কেমন লকডাউন .শুধু কি ফাঁকা বুলি । আর কত দিন যোগীর রাজ্যে দেখা যাবে এই করুন অবস্থা । ৫০ কেজি আটা, ৪০ কেজি চাল, ডাল, রেশনের আরও অনেক সামগ্রী বাড়িতে এল ঘটা করে। কিন্তু যখন প্রয়োজন ছিল তখন আসেনি। এক সপ্তাহ ধরে বাড়িতে এক মুঠো খাবারও ছিল না। পাঁচ বছরের ছোট্ট মেয়ে সোনিয়া কয়েকদিন ধরে কিছু খায়নি। খিদের চোটে একটা সময় জ্বর আসে খুদের। পয়সার অভাবে চিকিৎসাও হয়নি সময় মতো। শেষমেশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সে। মর্মান্তিক ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগ্রার বরেলি আহীর ব্লকের নগলা বিধিচন্দ গ্রামের।
শিশুটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই স্থানীয় প্রশাসন ছুটে যায় তার বাড়িতে। সঙ্গে সঙ্গে চাল, ডালের বহর পাঠানো হয়। সরকারি অনুদান চলে যায়। কিন্তু তাতে আর লাভ কী! মৃত শিশুটির মা শীলা দেবী জানিয়েছেন, তিনি দিনমজুরি করে সংসার চালান। তাঁর স্বামীর শ্বাসকষ্ট রয়েছে। কাজ করতে পারেন না। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে কাজ নেই। গত এক মাস ধরে বাড়িতে খাবার নেই। পড়শিরা সাহায্য করায় ১৫ দিন মতো খাবার জুটেছিল। কিন্তু গত সাত দিন ধরে বেঁচে থাকাই দায় হয়েছিল। মেয়েটি গত কয়েকদিন ধরে কিছু খায়নি। তার উপর ধুম জ্বর হয়েছিল। চিকিৎসা করানোর ও ওষুধ কেনারও টাকা ছিল না।
বাড়িতে লাইটের বিল এসেছিল সাত হাজার টাকা। হতদরিদ্র পরিবার সেই টাকা শোধ দিতে পারেনি। ফলে মাস তিনে আগে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা থেকে এসে লাইন কেটে দিয়ে যায়। শীলা দেবী জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারে কারও রেশন কার্ড হয়নি। এর আগে নোটবন্দির সময় ওই মহিলার আট বছরের ছেলে না খেতে পেয়ে মারা গিয়েছিল
সত্যিই কি আমজনতার এসেছে আচ্ছে দিন । নিরীহ শিশু আজ না খেতে পেয়ে মরে .অসহায়ের আর্তনাদ আকাশে বাতাশে ভাসে । আর ” মন কি বাতে ” আচ্ছে দিনের গল্প ফাঁদে ।