শোভন কে তৃণমূলে ফেরাতে , রত্নাকে না জানিয়েই বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরানো হল
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : শোভন চট্টোপাধ্যায় খাতা-কলমে এখনও বিজেপি’তেই রয়েছেন। শোভনবাবু নিজে তৃণমূলে ফিরে আসার কথা এখনও প্রকাশ্যে ঘোষণা না করলেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে দলে ফিরে পাওয়ার আশায় মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। শোভন চট্টোপাধ্যায় বিজেপি’তে যোগ পরই বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তার পত্নী রত্না চট্টোপাধযায়কে। রত্নার সঙ্গে শোভনের পারিবারিক বিবাদ সকলেরই জানা। তাই রত্না সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকলে পাছে শোভন অখুশি হয়, মূলতঃ এই কারণেই সোমবার রত্নাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল, এমনই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। তবে দলের তরফ থেকে তাকে এব্যাপারে কিছুই জানানো হয়নি বলে দাবি করেছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত: তৃণমূল দলের সঙ্গে নানা কারণে মনোমালিন্যে ক্ষুব্ধ শোভন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি’তে যোগ দিয়েছিলেন। দলের উপর বেজায় চটে তিনি কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের মন্ত্রীর পদ থেকেও সরে দাঁড়ান। বিধায়ক শোভন চট্টোপধ্যায়ের অনুপস্থিতিতে বিগত প্রায় তিন বছর ধরে বেহালার পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রটি বিধায়ক শূন্য অবস্থায়, এমনকি তার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডটিও কাউন্সিলরহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
এমনই এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছিলেন শোভন পত্নী রত্নাকে। গত প্রায় তিন বছর ধরে রত্না এই দায়িত্ব সামলে আসছিলেন। সূত্রের খবর, রত্নার সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়ে এতদিন দলের কেউ কোনও প্রশ্ন তোলেন নি। হঠাৎ শোভনকে দলে পাওয়ার জন্য এমন কি হল যে, রত্নার দক্ষতা নিয়ে দলে নাকি এখন প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে ! তাই তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বলে খবর।
অবশ্য রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, “তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে এব্যাপারে কিছুই জানাননি। তাই দলের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তিনি তার কাজ চালিয়ে যাবেন।”