নিউজ ডেস্ক:- প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির নাম নিয়ে জল্পনা আরও উসকে দিলেন সাংসদ অধীর চৌধুরি। সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী চাইলে তিনি ফের এই দায়িত্ব নিতে রাজি বলে বৃস্পতিবার জানান অধীর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের একটি চিঠি এই জল্পনাকে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে সোমেন মিত্রকে বসানো হয়েছিল । কিন্তু সোমেন মিত্র হঠাৎই ৩০ শে জুলাই মারা যাওয়ায় কংগ্রেস সভাপতির পদ শূন্য হয়। আর কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবাংলায় বিধানসভা নির্বাচন তাই তার আগে কংগ্রেস সভাপতি নাম ঘোষণা করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে অধীর রঞ্জন চৌধুরী ছাড়া বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যের নামো প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদের জন্য নাম উঠেছিল। আব্দুল মান্নান বিরোধী দলের নেতার পদ ছাড়তে রাজি নয় । ফলে কংগ্রেস সভাপতির দৌড়ে তিনি পিছিয়ে পড়েন। অন্যদিকে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সাংগঠনিক পরিকাঠামো যথেষ্ট ভালো তার যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই । তাই এই মুহূর্তে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে অধীরকেই বেছে নিতে চলেছেন সোনিয়া গান্ধী।
এখানেই শেষ নয়। কিছুদিন আগে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান অধীরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। অদীরকে সভাপতি চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে গোপনে চিঠি লেখেন তিনি। আবেদন করেন, অধীর সংসদীয় দলের নেতার হওয়ার কারণে রাজ্য রাজনীতিতে তিনি একটি মুখ। সামনে বিধানসভার ভোট। এই সময়ে অধীরকে সভাপতি করা হলে রাজে্য কংগ্রেসের গুরুত্বও বাড়বে। তঁার লড়াকু ইমেজ কংগ্রেসকে ভোটের ময়দানে সুবিধা করে দেবে। বামেদের সঙ্গে দর কষাকষিতে এগিয়ে থাকবে প্রদেশ। তাই তঁাকেই ফের সভাপতি করা হোক। রাজনৈতিক মহলের ধারনা, প্রদীপ ভট্টাচার্য নরম প্রকৃতির মানুষ। বামেদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দর কষাকষিতে কতখানি পেরে উঠবেন তা নিয়ে সন্দিহান প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যান নেতৃত্ব। এছাড়াও আর্থিকভাবে প্রদীপবাবু অধীরের তুলনায় দুর্বল। রাজ্য পার্টি চালাতে গিয়ে আর্থিকভাবে তাঁকে দিল্লির মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। অধীরের ক্ষেত্রে সেই সমস্যা নেই।
এই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ও কংগ্রেস মহলে শুরু হয়েছে আলোচনা ।