কেন্দ্র সরকার চায় ‘এক দেশ, এক ভোট’, তাই দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আমূল বদলের লক্ষ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক

Spread the love

নিউজ  ডেস্ক: –   এবার গোটা দেশ জুড়ে এক দেশ এক ভোটের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক  ।  নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকা রাম মন্দির নির্মাণ, অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ, তিন তালাক প্রথার নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার ‘এক দেশ, এক নির্বাচনের’ (One Nation, One Vote) লক্ষ্যে এগোচ্ছে মোদি সরকার। এ নিয়ে স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে (PMO) এক প্রস্থ আলোচনাও হয়ে গিয়েছে। লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে একাধিক পথের হদিশ দিয়েছেন সরকারি আমলারা। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, খুব শীঘ্রই এই লক্ষ্যপূরণ করতে ঝাঁপাবে কেন্দ্র সরকার।

একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের উদ্যোগে এক বৈঠক হয়। সেখানে লোকসভা (Loksabha), বিধানসভা (Assembly) ও স্থানীয় স্তরের নির্বাচনের জন্য একটি সাধারণ ভোটার তালিকা তৈরি করার বিষয় আলোচনা হয়। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে দুটি বিকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। সাধারণ ভোটার তালিকা তৈরি করতে প্রধানমন্ত্রীর প্রধান সচিব পি কে মিশ্র দুটি বিকল্প পথের হদিশ দেন। এক, ভারতীয় সংবিধানের 243k এবং 243Z(A) ধারা সংশোধনের মাধ্যমে দেশের সব (লোকসভা-বিধানসভা-পুর ও পঞ্চায়েত প্রশাসন) নির্বাচনের জন্য একটি ভোটার তালিকা বাধ্যতামূলক করা। দুই, রাজ্য সরকারগুলিকে আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে বলা। যাতে রাজ্যগুলো নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকাই পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের জন্য গ্রহণ করে।

প্রসঙ্গত, দেশের সংবিধানের 243k এবং 243Z(A) ধারায় পুর ও পঞ্চায়েত ভোটের সব নিয়মাবলী লিপিবদ্ধ আছে। পুর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশন স্বতন্ত্র কর্তৃত্বের অধিকারী। অন্যদিকে, সংবিধানের ৩২৪(১) ধারা অনুসারে, বিধানসভা ও লোকসভা ভোট করানোর দায়িত্ব রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের উপর। দেশে বহু রাজ্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকাই স্থানীয় নির্বাচন করতে ব্যবহার করে। তবে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড, অসম, মধ্যপ্রদেশ, কেরল, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরে স্থানীয় নির্বাচনের জন্য নিজস্ব ভোটার তালিকা ব্যবহার করে। এ বিষয়ে রাজ্যগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আগামী একমাসের মধ্যে পরবর্তী পদক্ষেপ করার বিষয়ে জানাতে বলেছেন মিশ্র। কেন্দ্রের তৎপরতা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দ্রুত ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রক্রিয়া চালু করতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.