আসছে নতুন নির্দেশিকা সরকারী কর্মীদের উপর , অযোগ্য দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মীদের অবসর নিতে বাধ্য করবে কেন্দ্র!

Spread the love

নিউজ  ডেস্ক: – এবার কোপ পড়তে চলেছে  সরকারী কর্মচারীদের  উপর । দশটা পাঁচটা হেলে দুলে বারোটায় গিয়ে  অফিসে ঢোকা এবার বন্ধ হতে চলেছে।   যে সমস্ত কর্মীর কর্মজীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের সার্ভিস রেকর্ড খতিয়ে দেখতে সমস্ত দপ্তরের সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। তা থেকে অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের চিহ্নিত করে জনস্বার্থে তাঁদের আগাম অবসর দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রের এক নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ফান্ডামেন্টাল রুলের ৫৬ (জে), ৫৬ (এল) এবং ১৯৭২-এর সেন্ট্রাল সিভিল সার্ভিসের (পেনশন) ৪৮ (১) (বি) ধারা অনুযায়ী উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের হাতে জনস্বার্থে কোনও সরকারি কর্মীকে আগাম অবসর দেওয়ার একচ্ছত্র ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তবে এটা বাধ্যতামূলক অবসরের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়। এই ব্যবস্থায় কর্মজীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হলে বা কর্মীর ৫০-৫৫ বছর বয়স হলে সরকার জনস্বার্থে তাঁকে আগাম অবসর দিতে পারে। শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশ জারি হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় দাবি করা হয়েছে, সরকারি কর্মীর দক্ষতা যাচাই করতে মাঝে মাঝেই এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করা হয়। এবং তারপর কোনও কোনও কর্মীকে আগাম অবসরও দেওয়া হয়। নতুন নির্দেশিকায় সেটাকেই স্পষ্টভাবে করা হয়েছে। এবং যাতে বিভিন্ন দপ্তর একইভাবে তা কার্যকর করে, সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে।

নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি’র ক্ষেত্রে বয়স ৫০ বছর হলেই (যদি ৩৫ বছর বয়স হওয়ার আগে কাজে যোগ দেন) তাঁর দক্ষতা যাচাই করা যাবে। নতুবা ৫৫ বছরের পর (৩৫ বছর বয়সের পর কাজে যোগ দিলে) সেটা করতে হবে। গ্রুপ সি (Group C) এবং অন্য স্তরের ক্ষেত্রে (পেনশন রুলের অন্তর্গত না হলে) ৩০ বছর কর্মজীবন পূর্ণ করলে তিন মাসের লিখিত নোটিশ এবং বেতন ও ভাতা দিয়ে তাঁদের আগাম অবসর দেওয়া যেতে পারে। পেনশন রুলের অন্তর্গত যে কোনও কর্মীকে ৩০ বছর কাজ করার পর পারফরম্যান্স যাচাই করে অবসর দেওয়া যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রেও তিন মাসের নোটিশ, বেতন-ভাতা এবং অবসরকালীন পেনশন  চালু করতে হবে। প্রতিটি দপ্তরকেই সে জন্য রেজিস্টার তৈরি করতে বলা হয়েছে। প্রতি ত্রৈমাসিকের শুরুতে তা খতিয়ে দেখবেন দপ্তরের সিনিয়র আধিকারিক। দেখতে হবে, সংশ্লিষ্ট পদে কাজ করার দক্ষতা কর্মীর আছে কি না, তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না। দেখতে হবে তাঁর কর্মজীবনের সার্ভিস রেকর্ড, অ্যানুয়াল পারফরম্যান্স অ্যাপ্রাইজাল রিপোর্ট (APR)। সংশ্লিষ্ট কর্মীর ফাইল ও রিপোর্টও পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে।

সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.