এবার কি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টও বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্র?

Spread the love

 

এবার কি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টও বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চলেছে কেন্দ্র? সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে যে তালিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক, তাতেই নাম রয়েছে ডিএসপি’র।

নিউজ ডেস্ক :-    কেন্দ্রীয় সরকার বারেবারেই আর্থিক সংকট মেটাতে বিলগ্নিকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে। একের পর এক সংস্থা বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। এবার কি সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (Durgapur Steel Plant) নাম? এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই শ্রমিক মহলে নেমে এসেছে দুশ্চিন্তার ছায়া। পরিস্থিতি আন্দাজ করে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি চণ্ডীগড়ের এক ব্যক্তি তথ্য জানার অধিকার আইনে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেন। সেই চিঠিতে তিনি বিলগ্নিকরণের তালিকায় থাকা কেন্দ্রীয় বা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির নাম জানতে চেয়েছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তর দেয় কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। তাতে তালিকায় নাম ছিল ২৬ টি সংস্থার। আর নামের মধ্যেই রয়েছে সেইলের (SAIL) ভদ্রাবতী স্টিল প্ল্যান্ট, সালেমের সঙ্গে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টেরও। তবে, এবারই প্রথম নয়, ৩ বছর আগেই ভদ্রাবতী, সালেম ও অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টে বেসরকারিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও ব্যাপক বাধার মুখে তা বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু সেখানেই এবার অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বদলে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের নাম ঢুকে গিয়েছে। আর এতেই বেজায় চিন্তায় পড়েছেন শ্রমিকরা। গোটা এলাকার শ্রমিকরাই ব্যাপক ক্ষুব্ধ কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে। সেই ক্ষোভ আঁচ করেই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখেছেন এলাকার বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুয়ালিয়া। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট নিয়ে শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। তাই বিষয়টি দ্রুত স্পষ্ট করার আবেদন করছি।’

উল্লেখ্য, লকডাউনের সময় একের পর এক অডার্র বাতিলের জেরে তিনটি বিভাগে উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি)। কারখানার সেকশন মিল, এমএসএম ও হুইল অ্যান্ড অ্যাক্সেল বিভাগের উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছিল ডিএসপি কর্তৃপক্ষ। একসঙ্গে তিনটি বিভাগের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়েছিল শ্রমিক মহলে। কারখানার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে প্রত্যেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। লকডাউনের পর সেই আতঙ্ক কিছুটা কাটলেও এবার নতুন আশঙ্কায় শ্রমিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.