আন্তজার্তিক নিউজ ডেস্ক :- নভেম্বর মাসেই বিশ্বের সেই সবচেয়ে হাইপ্রোফাইল নির্বাচন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সি বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু আভাস ও পরিস্থিতি বলছে, পুনরায় তাঁর পক্ষে ক্ষমতা দখল এককথায় অসম্ভব। সেইসঙ্গে রয়েছে করোনা মোকাবিলায় বিপুল ব্যর্থতা। এমনই একটি পরিস্থিতিতে হঠাতই ট্রাম্পের জন্য আকাশছোঁয়া খুশির খবর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যা রীতিমতো অক্সিজেন জোগাতে পারে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প!
যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বারবার অসহিষ্ণুতা, অভিবাসী নিয়ে কঠোর পদক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে বারবার, সেই তিনিই কিনা নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যে মনোনীত? জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও ইজরায়েল মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পথ প্রশস্ত করা ও দুই দেশের মধ্যে চুক্তিতে মধ্যাস্থতা করেন ট্রাম্প। ঐতিহাসিক ওই শান্তি চুক্তির কারণে ২০২১ সালের জন্য ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যে মনোনীত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, নরওয়ের সাংসদ টাইব্রিং-জেড্ডে ২০২১-এর নোবেল পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম প্রস্তাব করেন। নরওয়ের চারবারের নির্বাচিত এই সাংসদ বলেন, ’ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগ্যতার জন্য আমি মনে করি তাঁর নোবেল শান্তি পুরষ্কার পাওয়া উচিত। এই বিভাগে আরও যাঁরা মনোনীত হয়েছেন, তাঁদের তুলনায় বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করেছেন ট্রাম্প।’
নোবেল কমিটিকে টাইব্রিং-জেড্ডে লিখেছেন, ‘ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর পথে হাঁটতে শুরু করবে। এই চুক্তি একটি গেম চেঞ্জার হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে সহযোগিতা ও সমৃদ্ধির অঞ্চলে পরিণত করবে।’ উল্লেখ্য, গত ১১ অগস্ট ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে রাজি হয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। সেই চুক্তির কথাও ঘোষণা করেছিলেন স্বয়ং ট্রাম্প।
১৯০১ সাল থেকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ওই বছর থেকেই সারা পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সাফল্য, অসাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসা শাস্ত্র, অর্থনীতি, সাহিত্য ও শান্তি- এই মোট ছয়টি বিভাগে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। নোবেল পুরস্কারকেই বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরা হয়। সেই পুরস্কারের শান্তি বিভাগের জন্যে এবার মনোনীত হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন ২০০৯ সালে। এবার কি শিঁকে ছিড়বে ট্রাম্পের, উত্তর দেবে সময়।