নিউজ ডেস্ক :- সীমান্তে আগ্রাসন চালিয়েই থেমে নেই চিন। তারা প্রতিনিয়ত নজর রেখে চলেছে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের উপর। সেই তালিকায় রয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী ও বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। চিনা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এই কাজ করে চলেছে শেনজেনের একটি প্রযুক্তি কোম্পানি। সাম্প্রতিক একটি তথ্যে উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর খবর।
ঝেনহুয়া ডেটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি ভারতে কাদের নিশানা করা হবে তা চিহ্নিত করেছে। বিরাট সেই তালিকায় কে নেই। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন সপরিবার সনিয়া গান্ধী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক গেহলট, অমরিন্দর সিং, উদ্ধব ঠাকরে, নবীন পট্টনায়েক ও শিবরাজ সিং চৌহান, ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মধ্যে রাজনাথ সিং, রবি শংকর প্রসাদ, নির্মলা সীতারমণ, স্মৃতি ইরানি ও পীযুষ গোয়েল, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত ও দেশের অন্তত ১৫ জন প্রাক্তন সেনাপ্রধান, বায়ুসেনাপ্রধান ও নৌসেন প্রধান, দেশের প্রধান বিচারপতি শরদ বোবদে, বিচারপতি এএম খানউইলকর, লোকপালের বিচারপতি পিসি ঘোষ, কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল জিসি মুর্মু, ভারত পে-র প্রতিষ্ঠাতা নিপুন মেহরার মতো স্টার্ট-আপ টেক উদ্যোগপতি এবং রতন টাটা ও গৌতম আদানির তো শীর্ষ শিল্পপতিরা।
শুধু রাজনৈতিক ও আধিকারকদের ক্ষেত্রেই নয়, ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের উপর নজরদারি চালাচ্ছে চিন। তালিকায় রয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ আমলা, বিচারপতি, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, অভিনেতা, ক্রীড়াব্যক্তিত্ব, ধর্মীয় নেতা ও সমাজকর্মীরাও। এখানেই শেষ নয়, অর্থনৈতিক অপরাধ, দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ এবং নারকোটিকস, সোনা, অস্ত্র ও বন্যপ্রাণ পাচারকারী-সহ কয়েকশো অভিযুক্তকেও নজরে রেখে চলেছে চিনের এই কোম্পানি। কূটনৈতিক ও সেনা স্তরে আলোচনার প্রক্রিয়া চলা সত্ত্বেও লাদাখে যে ভাবে টানা আগ্রাসী মনোভাব দেখিয়ে চলেছে বেইজিং, সেখানে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় একে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে দিল্লি। ঝেনহুয়া দাবি করেছে, তারা চিনা গোয়েন্দা দফতর, সেনা বাহিনী ও নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে কাজ করে।
গত ২ মাস ধরে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর ঝেনহুায়ার মেটা ডেটা খতিয়ে দেখার পর এই তথ্য উঠে এসেছে। ওভারসিজ কি ইনফরমেশন ডেটাবেস নামে চিহ্নিত এই তথ্যভাণ্ডারে আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে তথ্য এন্ট্রি করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব চিনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনঝেনে রয়েছে এই কোম্পানি।