আন্তর্জাতিক ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- গোটা বিশ্ব আজ স্তম্ভিত হতবাক এ যে একেবারে উলট পুরাণ ,ঠিক এক সপ্তাহ আগে এই দিনে এই সময়ে শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি ঘাতকের বন্দুকের নলে থমকে গিয়েছিল পুরো ক্রাইস্টচার্চ। আর এক সপ্তাহ পরে সেই ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদের মুসল্লিদের ঢল। আবেগময় পুরো ক্রাইস্টচার্চ।আযানের ধ্বনি আজ মুখরিত।
শুক্রবার (২২ মার্চ) হামলার পর প্রথম জুমার নামাজ আদায় করা হয় সেখানে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ জুম্মার নামাজ আদায় করেন। শুধু মুসল্লি নয় শত শত অমুসলিমরাও সেখানে তাদের সাথে সংহতি জানাতে হাজির ছিলেন। মসজিদের পাশে হ্যাগলি পার্কেও মুসল্লি ছাড়িয়ে যায়। জুমার নামাজে অংশ নিতে বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মুসলিম নিউজিল্যান্ডে আসেন।
নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আরডার্নসহ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাও সেখানে সংহতি প্রকাশ করেছেন। জুমার নামাজের আযান জাতীয়ভাবে সম্প্রচার করা হয়। দেখানো হয় নামাজ আদায়ের অপুর্ব দৃশ্যও। নামাজ পড়তে আসা লোকজনকে ভরসা দিতে মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সদস্যা।
নামাজের আগে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৩২ মিনিটে নিহতদের স্মরণে ২ মিনিটের নীবরতা পালন করা হয়। এরপর আল নুর মসজিদের ইমাম জামাল ফুদা কয়েক শ মুসল্লির উদ্দেশ্যে আবেগময় ভাষণ দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, ‘নিউ জিল্যান্ড ভাঙার নয়, আমাদের হৃদয় ভেঙে গেছে, কিন্তু আমরা ভেঙে যাইনি। আমরা সবাই এক। আমাদের দৃঢ় হতে হবে যে, কেউ আমাদের বিভক্ত করতে পারবে না।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার নামাজের সময় হামলা চালায় মুসলিম বিদ্বেষী উগ্র শ্বেতাঙ্গ জঙ্গি। প্রথমে আল নূর মসজিদে হামলা চালায় সে। পরে পার্শ্ববতী লিনউড মসজিদ হামলা চালায়। নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা ফেসবুক লাইভে প্রচার করে হামলাকারী। ঘাতকের বুলেটে নিহত হন ৫ বাংলাদেশিসহ ৫০ জন। আহত হন আরও অর্ধশত।
এ ঘটনায় সেখানে অবস্থান করা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন। তারা ওই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। তারা মসজিদে প্রবেশের মুহূর্তে এই হামলা চালানো। ক্রিকেটাররা রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান। দৌঁড়ে সেখান থেকে নিরাপদে আশ্রয় নিয়ে প্রাণ বাঁচান। আজ ভ্রাত্বতের ছোয়ায় নিউজিল্যান্ড এক মিলন ক্ষেত্র।