গুজরাটে হাসপাতালে করোনা রোগীকে পিটিয়ে হত্যা ,ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই চাঞ্চল্য

Spread the love

 

 

নিউজ ডেস্ক:-  অমানবিক এক ঘটনা   সরকারি হাসপাতালের কর্মীদের বেধড়ক মারধরের জেরে মৃত্যু হল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক ব্যক্তির। পাশবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাট -এর রাজকোটের সিভিল হাসপাতালে। পরে ওই মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে কিডনিতে জল জমার কারণে রাজকোট  -এর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন ৩৮ বছরের স্থানীয় যুবক প্রভাকর পাটিল । চিকিৎসকরা অপারেশন করে কিডনি থেকে জল বের করতে সমর্থ হলেও পরে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। নমুনা পরীক্ষার পর জানা যায় প্রভাকরের করোনা হয়েছে। এরপর গত ৮ তারিখ চিকিৎসার জন্য তাঁকে রাজকোট সিভিল হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছিল। সেখানেই ১২ তারিখ মৃত্যু হয় প্রভাকরের। আর তারপরেই প্রকাশ্যে আসে তাঁকে মারধরের ভিডিও।

সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, পিপিই (PPE) কিট পরে থাকা হাসপাতালের একজন নার্সিং স্টাফ হাতে লাঠি নিয়ে প্রভাকরকে মাটিতে ফেলে তাঁর বুকের উপরে হাঁটু চেপে ধরে রয়েছে। আর পাশে থাকা অন্য নার্সিং স্টাফ ও হাসপাতালের নিরাপত্তাকর্মীরা ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করছে।

ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পরেই মৃতের ভাই বিলাস পাটিল অভিযোগ করেন, তাঁর দাদাকে পিটিয়ে মেরেছে হাসপাতালের কর্মীরা। শুধু তাই নয়, প্রভাকর করোনা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুর পর সরকারি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে তাঁর মৃতদেহ বিলাসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কোনওরকম প্রোটোকল না মেনেই শেষকৃত্যের কাজ সম্পন্ন করা হয়। সরকার যেন ওই অন্যায়ের সঠিক বিচার করে।

যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ১৭ তারিখ তাদের তরফে বিবৃতি দিয়ে দাবি করা হয়, ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিষেধ সত্ত্বেও হাসপাতালে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। অন্য রোগীদের মধ্যে যাতে করোনার সংক্রমণ না ছড়ায় তাই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কোনওরকম মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.