চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর দেশজুড়ে কৃষক অসন্তোষ বেড়েছে ৭০০%:

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:- মিদিজীর ভাষণে আর সন্তুষ্ট নয় কৃষককুল ।  কথা রাখেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০১৪–র নির্বাচনী প্রচারে তাঁর প্রতিশ্রুতি ছিল, আয় বাড়বে কৃষকদের। বাড়েনি। পথে নামতে বাধ্য হয়েছেন কৃষকরা। কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার কয়েকমাস পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছোটখাটো কৃষক আন্দোলন মাথাচারা দিয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট বলছে, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কৃষক প্রতিবাদের সংখ্যা ৬২৮ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪,‌৮৩৭, অর্থাৎ বেড়েছে ৭০০%।
সংবাদমাধ্যম ‘‌দ্য প্রিন্ট’–এর প্রতিবেদনে লেখা হচ্ছে, তখন মূলত রাজ্যে কিংবা আঞ্চলিক স্তরেই ছোট–মাঝারি কৃষক আন্দোলন দানা বেঁধেছে। যা কিনা হামেশাই জাতি–রাজনীতির অংশ হয়ে উঠত, যেকারণে ওই আন্দোলন কখনই বড় আকার পায়নি।

তবে ২০১৭ সালের দু’‌টি ঘটনার পর কৃষক–ক্ষোভের একটা দমকা হাওয়া সারা দেশে বয়ে গিয়েছিল। দিল্লির যন্তর–মন্তরে কয়েক সপ্তাহ ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর কৃষকরা। প্রতিবাদী কৃষকদের গলায় ঝোলানো ছিল কঙ্কালের খুলির মালা, মুখে মৃত ইঁদুর!‌ তারপর ওই বছরেরই জুন মাসে মান্ডসুরে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের হাতে ছ’‌জন কৃষকের মৃত্যু। মূলত এই দু’‌টি ঘটনার পর থেকেই ভিত মজবুত করার লক্ষ্যে নেমে পড়েছিল কৃষক সংগঠনগুলো।

পদযাত্রার পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কৃষকদের একত্রিত করেছে সংগঠনগুলো। গজিয়ে উঠেছে শয়ে শয়ে আরও ছোট–মাঝারি সংগঠন। গ্রামাঞ্চলে বিক্ষোভ কর্মসূচির পাশাপাশি শহরাঞ্চলে প্রতিবাদ দানা বেঁধেছে। ছোট–মাঝারি কৃষক সংগঠনগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে এসে তৈরি হয়েছে ‘‌অল ইন্ডিয়া কিসান সঙ্ঘর্ষ কো–অর্ডিনেশন কমিটি’‌। ২০টি রাজ্যের প্রায় ২৫০টি কৃষক সংগঠন এই কমিটির অন্তর্গত

এই পরিস্থিতিতে কৃষক সমস্যাকে এড়িয়ে যাওয়ার সাহস নেই মোদি সরকারের, আর তাই এই কৃষি বিল। তাতে আসলে আগুনে ঘি–ই ঢালা হয়েছে, বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যও বাড়িয়েছে কৃষি মন্ত্রক।

 

কৃষি বিলের আসল উদ্দেশ্য বোঝাতে আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর। বলেন, ‘‌এই বিলে কৃষকদের ক্ষতি হবে, এমন কোনও বিষয় নেই। ছোট কৃষকদের লাভের কথা ভেবেই বিল আনা হয়েছে।’ উল্টোদিকে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য, ‘‌ক্রুটিপূর্ণ জিএসটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ধ্বংস করেছে। নতুন কৃষি আইন আমাদের কৃষকদের ক্রীতদাস বানাবে।’ ভোট–রাজনীতির খেলায় আবারও কৃষকদের দুর্দশা চাপা পড়ে যাবে না তো?‌ প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.