নিউক্লিয়ার পরিবারগুলোতে, কর্মব্যস্ত বাবা-মায়ের “ছেলে ভোলানো” মোবাইল ব্যবহারে কোন দিকে যাচ্ছে শৈশব??

Spread the love

নিউক্লিয়ার পরিবারগুলোতে, কর্মব্যস্ত বাবা-মায়ের “ছেলে ভোলানো” মোবাইল ব্যবহারে কোন দিকে যাচ্ছে শৈশব??

 

সমীর দাস .নদীয়া:-     ঘুম পাড়ানো গান আর শোনা যায় না কর্মব্যস্ত মায়েদের গলায়! ঠাকুমাও বৃদ্ধাশ্রমে, তাই ঘুমানোর গল্প শোনা থেকেও বঞ্চিত পরিবারের ক্ষুদেরা। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ বানাতে অর্থের প্রাচুর্য করতে ব্যস্ত বাবা! মা ব্যস্ত, সামাজিক প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়ানোর অসম প্রতিযোগিতায়! এরই মাঝে প্রতিদিন চলে যাচ্ছে শিশুর শৈশব। উন্মুক্ত আকাশের নিচে দিগন্তবিস্তৃত মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলার নেশায় ছুটে বেড়ানোর বদলে শিশুরা বন্দি ফ্ল্যাটের কামরায় এলইডি স্ক্রিনে চলা কার্টুন নেটওয়ার্ক এর জগতে অথবা এন্ড্রয়েড মোবাইলের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে মারার নানা ঘাতক গেমে। অনেক বাবা-মা আবার ছেলে-মেয়ের এক বছর বয়সেই মোবাইলের প্রায় সমস্ত অপশন নখদর্পনের জন্য গর্ববোধ করেন। দেশীয় শাকসবজি ফলমূল ছেড়ে হেলথ ড্রিংকসে বিশ্বাসী যুক্তিবাদী পিতা-মাতা অবশ্য নেটওয়ার্কের রেডিয়েশন, মোবাইল থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় রশ্মির প্রভাবে, মস্তিষ্ক চোখ মানসিক বিকৃতি খুজে না পেলেও শিশুদের বুদ্ধিমত্তা বিকাশ খুঁজে পান এর মধ্যে।

 

একাকীত্ব থেকে এন্ড্রোয়েড স্ক্রিনে আসা নানা অশ্লীল বিষয় শিশুমনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা হয়তো অনেকটাই জানা নেই আমাদের। কিন্তু ঐ শিশুরাই যখন কিশোর কিশোরীতে পরিণত হয় তখন তাদের মধ্যে জন্মায় নানান অপরাধবোধ, যুক্ত হয়ে পড়ে নানা অসামাজিক কাজের সাথে,ধৈর্যচ্যুতির ফলে ঘটে আত্মহত্যার প্রবণতা। তখন আমরা কারণ খুঁজতে পৌঁছাই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে! কিন্তু প্রশ্ন হলো আর্থিক পরিস্থিতি যাই হোক জন্মদেওয়া সন্তানের জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রথম পর্যায়ে কেন আমরা থাকতে পারিনা তাদের পাশে? আমরা কি এতটাই ব্যস্ত!

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.