ওয়েব ডেস্ক:- হাথরস কান্ডে এক সাংবাদিক সহ চারজনকে গ্রেফতার দেশদ্রোহীতার ,অভিযোগে মামলা শুরু , হাথরসের হিংসায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেফতার চার জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী ও ইউএপিএতেে মামলা দায়ের হয়েছে। মালায়লম পোর্টালের সাংবাদিক-সহ ওই চার জনকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশের মথুরা পুলিশ।
CRPC-র ১৫১ ধারায় মঙ্গলবার এই চার জনকে গ্রেফতারের পর জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কোনও ব্যক্তি অপরাধ করতে পারে বলে যখন প্রশাসনের সন্দেহ হয়, তখন ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ বা ‘প্রতিরোধ গ্রেফতার’-এর এই ধারা দেওয়া হয়। যাতে গ্রেফতার করা যায়। বুধবার নতুন করে তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহ ও UAPA ধারা দেওয়া হয়েছে বলে মথুরা পুলিশের সূত্রে বুধবার নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় এই চার জন হাথরসের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পুলিশের ধারণা হয়, হাথরসের হিংসায় পরিকল্পিত ভাবে ষড়যন্ত্র করতেই তাঁরা হাথরসে যাচ্ছিলেন। ধৃতেদের একজন সিদ্দিকি কাপ্পান। কেরালা ইউনিয়ন অফ ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট (KUWJ) সংগঠনের সম্পাদক। বাকি তিন জন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI)-র ছাত্র সংগঠন ‘ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (CFI)-র সদস্য। ধৃতদের নাম আতিকর রহমান, মাসুদ আহমেদ ও আলম। এই চার জনেরই ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছে হাথরস নিয়ে পুস্তিকাও পেয়েছে পুলিশ। তাতে হাথরসের দলিত কন্যার ন্যায়বিচারের কথা বলা হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে পুলিশের ধারণা হয়, হাথরস হিংসায় ইন্ধন যোগাতে যাচ্ছিল।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, ধৃতরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। শুধু হাথরস নয়, পরিযায়ী শ্রমিক, গণপিটুনিতে হত্যা-সহ একাধিক ঘটনায় ওয়েবসাইটের ভূমিকা সন্দেহজনক বলে পুলিশের মনে হয়েছে। মথুরা পুলিশ ইডিকেও তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছে।
হাথরসের দলিত তরুণী যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন, সে অভিযোগ এখনও মানেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের উল্লেখ থাকলেও স্পার্ম না-পাওয়ায়, ধর্ষণের অভিযোগ নস্যাত্ করে দেয় যোগীপুলিশ। ধর্ষণের একসপ্তাহ পর পরীক্ষা হলে, স্পার্ম পাওয়া যে সম্ভব নয়, তা অভিজ্ঞ পুলিশকর্তাদের অজানা নয়। কারণ, শুক্রাণুর আয়ু তিন দিনের বেশি নয়। ফলে, যোগীর পুলিশের বিরুদ্ধে হাথরসের গণধর্ষণের ঘটনাকে আড়াল করার অভিযোগ প্রথম থেকেই। মঙ্গলবার হাথরস নিয়ে অন্য তথ্যও সামনে আনে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত অনুযায়ী, হাথরসের নির্যাতিতা তরুণীর সঙ্গে এই মামলার মূল অভিযুক্ত সন্দীপ সিংয়ের সবসময় যোগাযোগ ছিল। দু-জনের মধ্যে ফোনে অন্তত ১০৪ বার কথা হয়েছে।
যোগীপুলিশ কি এই তথ্য সামনে এনে, হাথরসের ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করছে? নতুন করে উঠছে সে প্রশ্ন।
সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা