নিউজ ডেস্ক :- আবার এক দলিত বৃদ্ধকে ঘৃণ্য ভাবে নিগ্রহ করা হল। হাথরসের দলিত কন্যাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার রেশ এখনও মিলিয়ে যায়নি। গোটা দেশ এখন যোগী আদিত্যনাথের সরকারের উপর রীতিমতো ক্ষিপ্ত। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে এই পরিস্থিতিতেও দলিত নিগ্রহ থেমে নেই। মঙ্গলবারই দুটি ঘৃণ্য দলিত নিগ্রহের ঘটনা প্রকাশ্যে এল। প্রথম ঘটনাটি অ্যাসিড হামলার। আবারও ওই রাজ্যে উচ্চ বর্ণের নিশানায় দলিতরা। যোগী রাজ্যের গোন্ডা এলাকায় রাতের অন্ধকারে তিন তলায় বেয়ে উঠে তিন দলিত বোনের দিকে অ্যাসিড ছুড়ে পালাল এক দুষ্কৃতী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি। দ্বিতীয় ঘটনাটিও একই রকম নৃশংস। ৬৫ বছরের এক দলিত বৃদ্ধকে প্রথমে বেধড়ক মারধর ও পরে জোর করে মূত্রপান করানোর অভিযোগ উঠল।
ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ললিতপুররের রোদা গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে খবর, দিন কয়েক আগে অভিযুক্ত সনু যাদব আক্রান্ত দলিত বৃদ্ধের ছেলের উপর আক্রমণ করেছিলেন। ছেলের উপর আক্রমণের ঘটনার পরই থানায় নালিশ জানিয়েছিলেন বৃদ্ধ। আর থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই সনু যাদব চড়াও হয় বৃদ্ধের উপর। অভিযোগ তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় আক্রমণের শিকার হলেন ওই বৃদ্ধ।
অভিযোগ, ওই বৃদ্ধ মামলা না তোলায় রাগে এদিন ফের তাঁদের উপর হামলা চালায় সনু যাদব। বেধড়ক মারধর করা হয় বৃদ্ধকে। শুধু তাই নয়, এরপর বৃদ্ধকে মূত্রপান করানো হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত ওই বৃদ্ধ বলেন, ‘অভিযোগ তুলে না নেওয়ায় লাঠি দিয়ে আমাকে প্রচন্ড মেরেছে সনু যাদব। তারপর মূত্রপান করানো হয়।’
এলাকায় সনু যাদব প্রভাবশালী বলেই পরিচিত। পুলিশ এখনও তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে, ললিতপুরের পুলিশ সুপার মির্জা মাঞ্জার বেগের দাবি, অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার ভোররাতে উত্তরপ্রদেশেই অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছে ৮, ১২ ও ১৭ বছরের তিন দলিত বোন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা যখন ঘুমোচ্ছিল, তখন খোলা জানলা দিয়ে তাদের দিকে শৌচালয়ে ব্যবহারের অ্যাসিড ছুড়ে মারা হয়। বড় বোনের মুখে ও বুক মারাত্মকভাবে পুড়ে গিয়েছে। বাকি দুই বোনের হাতও সামান্য পুড়েছে। তাদের তিনজনকেই গোন্ডা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
সৌজন্য :- Ei samay patrika