ওয়েব ডেস্ক :- এবার কুম্ভমেলা এলাকায় মসজিদ ভাঙার আবেদন VHP এর ।
কুম্ভমেলা চত্বরে নির্মীয়মান একটি মসজিদ ভেঙে ফেলার দাবি তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এই মর্মে প্রয়াগরাজ প্রশাসনের কাছে একটি দাবিপত্রও জমা দিয়েছে ভিএইচপি।
প্রয়াগরাজের ঝাঁসি এলাকায় হাভেলিয়া নামে একটি গ্রামে তৈরি হচ্ছে এক মসজিদ। ওই মসজিদটি কুম্ভমেলা ‘ক্ষেত্র’-র সমুদ্রকূপ এলকায়। ভিএইচপির তরফে দাবি করা হয়েছে, মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে ভিএইচপি জানিয়েছে, সাত দিনের মধ্যে নির্মীয়মান মসজিদটি ভেঙে না ফেললে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে।
সাংবাদমাধ্যমে এনিয়ে সংগঠনের মুখপাত্র অশ্বিনী মিশ্র বলেন, জেলার অতিরিক্ত জেলা শাসককে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন ভিএইচপির কাশী পন্থের স্বেচ্ছাসেবকরা। ‘কুম্ভমেলা ক্ষেত্রে’ ওই মসজিদটি নির্মাণ করা হচ্ছে। বেশকিছু অপরিচিত লোক এলাকার সম্প্রীতি নষ্ট করতে ওই মসজিদটি নির্মাণ শুরু করেছে। পুলিস গোটা ব্যাপারটাই জানে। তারা কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
কুম্ভমেলা চত্বরে থাকা মসজিদ ভেঙে ফেলতে চাইছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে প্রয়াগরাজ জেলা প্রশাসনের কাছে একটি স্মারকলিপিও জমা দিয়েছে তারা। যাতে প্রয়াগরাজের গঙ্গার ত্রিবেণী সঙ্গম এলাকার একটি গ্রামসভায় অবস্থিত অবৈধ মসজিদকে ভাঙার দাবি জানানো হয়েছে। এদিকে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরেই নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার প্রয়াগরাজ -এর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) নেতারা জেলাশাসকের কাছে ঝাঁসি এলাকার হাভেলিয়া গ্রামের একটি মসজিদ ভাঙার আবেদন জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দেন। কুম্ভমেলা ক্ষেত্রের সমুদ্রকূপ এলাকা থাকা ওই মসজিদটি অবৈধভাবে নির্মিত হচ্ছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
মসজিদটি তৈরি কাজ বন্ধ করে দিয়ে সেটিকে ধ্বংস করার জন্য তাঁরা জেলাশাসককে সাতদিনের সময় দিয়েছেন। দাবি মানা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এপ্রসঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র অশ্বিনী মিশ্র বলেন, ‘বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কাশী পন্থের স্বেচ্ছাসেবকরা অতিরিক্ত জেলাশাসক (শহর) -এর হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন। ওই স্মারকলিপিতে কুম্ভমেলা ক্ষেত্রে একটি অবৈধভাবে নির্মিত হতে চলা মসজিদের কাজ আটকানোর দাবি জানানো হয়েছে। এই শহরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্য কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি অবৈধভাবে ওই মসজিদটি তৈরি চেষ্টা করছে। কিন্তু, আমরা কোনওমতেই এই বিষয়টি মেনে নেব না। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা ওই মসজিদ তৈরির বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কড়া কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।’
গত বছরের নভেম্বর মাসে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরি নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপরই কট্টর হিন্দুত্ববাদীরা স্লোগান তুলে, ‘রাম মন্দির তো ঝাঁকি হ্যায়, অভি মুথরা-কাশী বাকি হ্যায়।’ প্রয়াগরাজের এই ঘটনা তারই নিদর্শন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কিশোরীকে অপহরণ করে ২২ দিন ধরে ধর্ষণ! এবার নৃশংসতার সাক্ষী নবীন পট্টনায়েকের ওড়িশা