নিউজ ডেস্ক :- আল কায়েদা জঙ্গী সন্দেহে মুর্শিদাবাদ থেকে আরও এক যুবককে গ্রেফতার করল এনআইএ। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি ওই যুবকের আল কায়েদা জঙ্গিযোগ রয়েছে। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া একাধিক নথিতে তার জঙ্গিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে মনে করছেন এনআইএ’র তদন্তকারী অফিসাররা। তাকে গ্রেফতারের পরেই ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আল-কায়দার জঙ্গি দাবি করে গত সেপ্টেম্বর মাসেই মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে ছ’জনকে গ্রেফতারের পর দিল্লি নিয়ে গিয়েছিল এনআইএ’র একটি টিম। এরপরও সেপ্টেম্বরেই সেই মুর্শিদাবাদ জেলা থেকেই জঙ্গি সন্দেহে আরও একজনকে আটক করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী অর্থাৎ বিএসএফ। যদিও আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের ঘটনা নিয়ে যখন বিরোধীরা নাগাড়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন রাজ্য সরকারের দিকে, এমনই এক পরিস্থিতিতে সেই মুর্শিদাবাদ থেকেই আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে আর এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ এনআইএ। মুর্শিদাবাদের রানিনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। তাঁর নাম আবদুল মোমিন মণ্ডল।
মাস খানেক আগেই মুর্শিদাবাদ থেকে জঙ্গী যােগে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই আবদুল মোমেন মণ্ডল নামে ওই যুবককে রবিবার রাতে এনআইএ’র তদন্তকারী অফিসাররা গ্রেফতার করেছেন। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন মুর্শিদাবাদের রায়পুরের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। এনআইএ’র দাবি, শিক্ষকতার আড়ালে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতেন তিনি। শুধু তাই নয়, জঙ্গী মূলক কার্যকলাপের জন্য অর্থ জোগাড় করা, নতুন সদস্য নিয়োগ করার দায়িত্বেও তিনি ছিলেন।
ধৃতদের কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই এলাকায় হানা দেন এনআইএ’র অফিসাররা। এরপরেই মুর্শিদাবাদ থেকে তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে বেশকিছু ডিজিটাল ডিভাইস, নথিসহ একাধিক জিনিস উদ্ধার হয় ।
এনআইএ’র সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে ধৃতদের হোয়াটসঅ্যাপে একটি গ্রুপ সক্রিয় ছিল। কিন্তু সেই গ্রুপে যা কথোপকথন হত, তা সেই সময়ই ডিলিট করে দেওয়া হত। এর আগে মুর্শিদাবাদ থেকে ছ’জন ধরা পড়ার পর ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সূত্র ধরেই বাকিদের খোঁজ শুরু করেন এনআইএ’র গোয়েন্দারা। এরপর মুর্শিদাবাদ থেকেই বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ে একজন। এবার গ্রেফতার হল আবদুল মোমিন মণ্ডল। এনআরএ গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় মালদার দুই যুবকও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কেন্দ্রের এই গোয়েন্দারা আগেই জানিয়েছেন, সন্দেহের তালিকায় আরও অনেক জন রয়েছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, অন্যান্য রাজ্যেও ছড়িয়ে রয়েছে আল কায়দার জঙ্গি নেটওয়ার্ক। আর ধীরেধীরে এক-একজনকে গ্রেফতার করে জাল গোটাতে চাইছে এনআইএ।