নিউজ ডেস্ক :- ইসলামপুর, ৮ই নভেম্বর আজ ইসলামপুর মহকুমা সহ ফাঁসিদাওয়া থানার ১৯টি মৌজাকে নিয়ে ইসলামপুরকে স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণার দাবিতে ইসলামপুর বাস টার্মিনালে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় ইসলামপুর মহকুমার মোট চল্লিশজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয় । এদের মধ্যে মোট সাতাশজন উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাগত ভাষণ দেন, আজকের সভার আহবায়ক শিক্ষক তথা ইসলামপুরকে জেলা করার আন্দোলনের দীর্ঘ দিনের সমাজসেবী জনাব পাশারুল আলম। তিনি ইসলামপুর জেলা না হওয়ার কারনে ট্রান্সফারড এরিয়ার মানুষের কি কি সমস্যা হয়, তা যেমন তুলে ধরেন পাশাপাশি এখানকার মানুষ কিভাবে সামাজিক, রাজনৌতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শোষিত হচ্ছে তা ব্যাখ্যা করেন। ইসলামপুরকে সদর করে সমস্ত ট্রান্সফারড এরিয়াকে নিয়ে একটি স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণার দাবি আদায় করার উদ্দেশ্যে ‘ইসলামপুর জেলা দাবি আদায় কমিটি’ গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, “ইসলামপুর জেলা আমাদের দাবি নয়, এটা আমাদের অধিকার”। এই প্রস্তাবের পক্ষে করণদীঘি থেকে শ্রী দ্বীনেশচন্দ্র সিংহ ও শ্রীমতি রেণুকা সিংহ, গোয়াল পোখর থেকে খাজা মোজাহিদ ও মুস্তাক আলম, ইসলামপুর থেকে বক্তব্য রাখেন, আইনজীবী সুদীপ দত্ত, হাজী মোজাফ্ফর হোসেন ও মহ: মোসরুর আলম। চোপড়া থেকে বক্তব্য রাখেন, রুহিদাস ওরাও, ইউসুফ আলী ও বিউটি বেগম। সভায় সকল বক্তায় ইসলামপুরকে স্বতন্ত্র জেলা ঘোষণার দাবিকে জোরালোভাবে সমর্থন করেন এবং যৌথভাবে জেলা আদায় করার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তৎসঙ্গে সকলেইআজকের সভায় ইসলামপুরকে জেলা করার জন্য ‘ইসলামপুর জেলা দাবি আদায় কমিটি’ গঠন করার পক্ষে মত দেন। এর পর মোট একুশ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এই কমিটিকে আরো সম্প্রসারিত করার জন্য একটি কনভেশন ডাকা হবে। যেকোন সংগঠন ও ব্যক্তি জেলার দাবি সমর্থন করেন তারা ‘ইসলামপুর জেলা দাবি আদায় কমিটি’তে অংশ গ্রহন করতে পারবেন। আজকে সভায় সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ২৬শে নভেম্বরে সংবিধান দিবসে একটি সভা আয়োজন করা হবে। আজকে কমিটি এও সিদ্ধান্ত নেয় যে, আগামী দিনে মহকুমা শাসক, জেলা শাসক থেকে মুখ্যমন্ত্রী,রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্মারকপত্র দেওয়া হবে। হাজী মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, যতদিন ইসলামপুরকে জেলা ঘোষণা করা হচ্ছে না, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। সভায় ইসলামপুর জেলা দাবি আদায় কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন, শিক্ষক পাশারুল আলম, সহকারী আহবায়ক হাজী মোজাফ্ফর হুসেন ও কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন, শ্রী বিবেকানন্দ বর্মন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট লেখক ও কবি শ্রী বিবেকানন্দ বর্মন।