আগামীকাল থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন ,দেখুন কি কি গাইড লাইন

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :- আ্গামীকাল থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন ,দেখুন কি কি গাইড লাইন ।  লোকাল ট্রেনের ভিড় থেকে বাড়তে পারে করোনার সংক্রমণ, সেই ভাবনা থেকেই প্রায় আট মাস বন্ধ রাখা হয়েছিল পরিষেবা। কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এতদিন লোকাল ট্রেন বন্ধ করা হল, তা নতুন করে আবার পরিষেবা চালুর শুরুতেই যে ধাক্কা খাবে, এই নিয়ে প্রায় নিঃসংশয় রেলকর্মীরা। কারণ মহড়ার সুযোগ নেই – সরাসরি অগ্নিপরীক্ষার মুখে পড়তে হচ্ছে রেল, একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকেও। তাই লোকাল ট্রেন শুরুর আগেরদিনই জরুরি গাইডলাইন জারি করল নবান্ন।

গাইড লাইন অনুযায়ী, যাত্রীদের জন্য মাস্ক বা ফেসকভার বাধ্যতামূলক, প্রত্যেকদিন স্যানিটাইজ করতেই হবে ট্রেনের প্রতিটি কামরা। পরিষ্কার রাখতে হবে প্রতিটি প্ল্যাটফর্মের শৌচাগারগুলি, করোনা সচেতনতা বাড়াতে অডিয়ো-ভিসুয়াল মাধ্যমে প্রচার আরও বাড়াতে হবে, প্রথমে স্পষ্ট না হলেও এখন বলা হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে স্টেশনে ঢোকা ও বেরনোর পথ, প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে রাখতে হবে আইসোলেশন রুম, যাত্রী সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে মোতায়েন করা হবে জিআরপি ও রাজ্যপুলিশ, ট্রেনের সময়সূচি প্রচার করতে হবে আরও বেশি করে, একইসঙ্গে জিআরপি ও রাজ্যপুলিশকে সাহায্য করার জন্যে সঙ্গে থাকবে আরপিএফের নিরাপত্তাকর্মীরাও।
রেলের কর্মীরা বলছেন, যতই সুরক্ষা বলয় আঁকা হোক, যতই গার্ডরেল বসুক আর যত বারই স্যানিটাইজ করা হোক ট্রেনে, কিন্তু লোকালে করোনার স্বাস্থ্যবিধি পালনের সাফল্য পুরোপুরি নির্ভর করছে যাত্রীদের কতটা সচেতন হয়ে চলবেন, তার উপরেই।

ইতিমধ্যেই শহর ও শহরতলির ব্যস্ত স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার-কর্মীদের শরীরী ভাষাই বলে দিচ্ছে, বিপুল জনসংখ্যার সামনে একপ্রকার অসহায়ই হয়ে পড়ছে রেল। এক স্টেশন আধিকারিক তো স্বীকার করে নেন, ‘দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আমাদের আর কিছু করার নেই। যাত্রীদের উপর বলপ্রয়োগের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’ যদিও আশাবাদী হয়ে কেউকেউ বলছেন, যাত্রীরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করলে তবে সুফল মিলতে পারেই। কিন্তু আনলকের পরে বাসে ঠাসাঠাসি ভিড়ের ছবি সে আশা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে না।

তবে টার্মিনাল স্টেশন এবং স্টেশনে প্রবেশ ও প্রস্থানের বহু ফটক থাকার কারণে হাওড়া এবং শিয়ালদহ নিয়ে কিছুটা আশাবাদী রেল আধিকারিকরা। কোন গেট প্রবেশের এবং কোন গেট প্রস্থানের জন্য খোলা হবে তার চিহ্নিতকরণ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। সেই অনুযায়ী বসে গিয়েছে গার্ডরেলও। যে গেটগুলো প্রাথমিক ভাবে বন্ধ রাখার কথা ভাবা হয়েছে, যাত্রীদের চাপ বেড়ে গেলে সেই গেটগুলিও খুলে দেওয়া হবে। পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী এবং দক্ষিণ-পূর্বরেলের সঞ্জয় ঘোষও একযোগে বলছেন, ‘মসৃণ পরিষেবার জন্য আমরা প্রথম থেকেই যাত্রীদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকছি। আমাদের আবেদন, আপনারা যথাযথ করোনা বিধি মেনে চলুন।’

 

সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.