নিউজ ডেস্ক: -উন্নয়ন নিয়ে উচ্চ বাচ্য নই ,কৃষি নিয়ে কথা নই ,চলছে লাভ জিহাদ নিয়ে উচ্চ বাচ্য । বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে লাভ জেহাদ বিতর্কে সরগরম দেশ। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের লাভ জেহাদ বিরোধী অর্ডিন্যান্সে সদ্য স্বাক্ষর করেছেন রাজ্যপাল। নতুন এই আইনের বিরোধিতায় এবার মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি মদন লোকুর । নতুন আইনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাকে পছন্দের স্বাধীনতা কিংবা মানবাধিকার বিরোধী বলে দাবি করলেন তিনি।
এক বক্তৃতায় তিনি মুখ খোলেন আইনটি নিয়ে। তাঁর কথায়, ‘‘সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে যে অধ্যাদেশটি পাস হয়েছে তা দুর্ভাগ্যজনক। জোর করে কিংবা প্রতারণা করে ধর্মান্তকরণের মাধ্যমে বিয়ের কথা বলা হয়েছে ওই আইনে। এতে পছন্দের স্বাধীনতা, মর্যাদা কিংবা মানবাধিকার উপেক্ষিত হচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ব্যক্তিস্বাধীনতা কিংবা মর্যাদা রক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের যে আইন তা এর ফলে রীতিমতো লঙ্ঘন করা হচ্ছে। সমাজ এমন আইনের জন্য প্রস্তুত কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। পাশাপাশি প্রশ্ন তোলেন, ‘‘তাহলে ২০১৮ সালে হাদিয়া মামলার সময় সুপ্রিম কোর্ট যে আইনের কথা বলেছিল তার কী হবে?’’
ঠিক কী হয়েছিল হাদিয়া মামলায়? কেরলের এক মুসলিম যুবককে বিয়ে করেন এক হিন্দু তরুণী। তিনি ধর্ম বদলে নাম নেন হাদিয়া। মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে, এই অভিযোগে মামলা করেন হাদিয়ার বাবা। সেই সময় হাদিয়া আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, ওই তরুণীর বৈবাহিক জীবনে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। এদিন সেই মামলার প্রসঙ্গই নতুন করে ফিরে এল প্রাক্তন বিচারপতির মন্তব্যে।
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সরকারের পেশ করা ‘লাভ জেহাদ’ বিরোধী অর্ডিন্যান্সে শনিবার সম্মতি দেন রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল। এই আইনে অভিযুক্তের ৩ থেকে সর্বাধিক ১০ বছরের সাজা হতে পারে।
সৌজন্যে :- সংবাদ প্রতিদিন