নিউজ ডেস্ক :- দেশের সব থানা,CBI, NIA-সহ সব এজেন্সির অফিসে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা বাধ্যতামূলক। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দেশের সমস্ত থানা, সিবিআই (CBI), এনআইএ (NIA), ইডি (ED)-র মতো তদন্তকারী সংস্থার লক আপ (Lock UP) এবং জেরা করার ঘরে ‘নাইট ভিশন’ ও ‘অডিও রেকর্ডিং’-এর ব্যবস্থা-সহ সিসিটিভি বসাতে হবে। হেফাজতে অত্যাচার বন্ধের লক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। দেশের সমস্ত থানায় এই ব্যবস্থা করতে হবে রাজ্যগুলিকে। শীর্ষ আদালত বলেছে, এমনভাবে ক্যামেরা (CCTV) বসাতে হবে যাতে ‘ইন্টারোগেশন রুম’, লক আপ, থানা বা তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে ঢোকা-বেরনোর সমস্ত দিক স্পষ্ট বোঝা যায়।
এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন দেশের শীর্ষ আদালত। এই সিসিটিভি ক্যামেরা গুলো ‘নাইট ভিশন’ ক্ষমতাসম্পন্ন হতে হবে। সেই সিসিটিভিতে এমন জায়গা থাকতে হবে, যাতে ১৮ মাস অডিয়ো ও ভিডিয়ো তাতে সুরক্ষিত রাখা যায়। তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ঢোকা, বেরনোর পথ, লকআপ, অভিযোগকারী এবং অভিযুক্তের সঙ্গে সাক্ষাৎকার-সহ থানার বিভিন্ন জায়গায় সেই সিসিটিভির বন্দোবস্ত করতে হবে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে সেই নির্দেশ পালন করতে হবে। যদি সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ হয়ে পড়ে থাকে, তাহলে ‘স্টেশন হাউজ অফিসার’ (এসএইচও) সরাসরি সিসিটিভির দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন। সিসিটিভি নেটওয়ার্কের জন্য রাজ্যগুলিকে থানায় পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ইন্টারনেট পরিষেবার বন্দোবস্ত করতে হবে। পঞ্জাবে পুলিশে হেফাজতে অত্যাচার সংক্রান্ত একটি মামলায় সেই রায় দেয় শীর্ষ আদালত। সেই মামলার শুনানিতেই শীর্ষ আদালত এমন রায় ঘোষণা করলেন।
পাঞ্জাবের একটি ঘটনায় হেফাজতে অত্যাচার সংক্রান্ত মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে প্রবেশ-প্রস্থান পথ, লক আপ, করিডোর, লবি, রিসেপশন এলাকা, ইন্সপেক্টর, সাব-ইন্সপেক্টরদের ঘর এবং শৌচাগারের বাইরেটাও। রেকর্ডিংয়ের সুবিধাযুক্ত সিসিটিভি লাগাতে হবে নার্কোটিক্স ব্যুরো, ডিরেক্টরেট অফ রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্স এবং সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন—এর দপ্তরেও।