নিউজ ডেস্ক :- উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের হাসপাতালে শতাধিক শিশুকে বাঁচিয় হিরো হয়ে ওঠা ডা. কাফিল খানের বিরুদ্ধে সাসপেনশন তোলার আর্জি জানিয়েছিল দেশের ডাক্তারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। আইএমএ-এর তরফে ডা. কাফিল খানের প্রতি সহমর্মিতা দেখিয়ে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুরেশ খান্নার কাছে চিঠি লিখে আর্জি জানিয়েছিল গোরক্ষপুরের বিআরডি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাফিল খানের উপর ২০১৭ সাল থেকে চলে আসা সাসপেনশন যেন তুলে নেওয়া হয়। আইএমএ বলেছিল, একজন চিকিৎসকের জীবন, স্বাস্থ্য, ত্যাগ ও তাদের পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানানো হয় এ বিষয়ে যেন বিবেচনা করা হয়। যদিও সেই বিবেচনার আর্জি মঞ্জুর করেনি যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার।
আইএমএ-এর সেই আর্জিতে উত্তরপ্রদেশ সরকার সাড়া না দেওয়ায় এবার ডা. কাফিল খানের উপর থেকে যাবতীয় সাসপেনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানাল দেশের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়েট্রিকস’। ৬ ডিসেম্বর ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়েট্রিকস’-এর তরফে উত্তরপ্রদেশ সরকারের উদ্দেশ্যে লেখা চিঠির প্রতিলিপি স্বয়ং ডা. কাফিল খান ‘আপনজন’ সম্পাদক জাইদুল হকের কাছে পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারের আর্জি জানিয়ে ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়েট্রিকস’-এর জাতীয় প্রেসিডেন্ট ডা. বকুল জয়ন্ত পারেখ ও সাধারণ সম্পাদক ডা. জি ভি বাসবরাজা তাদের সংগঠনের অন্যতম সদস্য কাফিল খানের সাসপেনশন তোলার আর্জি জানিয়ে লিখেছেন, ‘ডা, কাফিল খান (সদস্য নম্বর এল/২০১৬/কে-২৩০৮) উত্তরপ্রদেশের ১৭২, বসন্তপুর, পোস্ট: গীতা প্রেস, গোরক্ষপুর-২৭৩০০১-এর বাসিন্দা ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়েট্রিকস’-এর অন্যতম সদস্য ২০১৬ সাল থেকে। তিনি খুবই ভাল স্বভাবের এবং ‘ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়েট্রিকস’-এর সঙ্গে কোনওদিন তার কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি। আমরা তার মেইল থেকে জানতে পেরেছি, তার বিরুদ্ধে নটি পৃথক পৃথক তদন্ত শেষ হলেও তার মধ্যে কোনও ত্রুটি না পাওয়া সত্ত্বেও তার সাসপেনশন তুলছে না উত্তরপ্রদেশ সরকার। তাই আমরা চাইছি, আইন মোতাবেক তার সাসপেনশন তোলার বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।’
উল্লেখ্য, ডা. কাফিল খান বিআরডি হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃতপ্রায় শতাধিক শিশুকে নিজ উদ্যোগে অক্সিজেনের যোগান দিয়ে বাঁীয়ে মিডিয়ার চোখে হিরো হয়ে ওঠেন। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের স্বাস্থ্য পরিষেবার ভগ্ন দশা সামনে আসায় সরকারের চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন তিনি। তার চাতরির ্তউপর সাসপেনশন জারি করার পরও তিন বছর ধরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার করা হয়। এমনকী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএএ বিরোধী বক্তব্য রাখার দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গ্রেফতার করা হয়। জামিনে মুক্তি পেয়ে ডা. কাফিল খান এখন রাজস্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।