নিউজ ডেস্ক :- :দিল্লির কৃষক আন্দোলনের আঁচ এবার সরাসরি গিয়ে পড়ল আদানি, আম্বানিদের আঙিনায়। বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎই ট্রেন্ডিং হয়ে যায় বয়কট জিও । কৃষকদের দাবির পাশে দাঁড়িয়ে সুর চড়ায় নেটদুনিয়ার বাসিন্দারাও। ব্যাপারটা কী?
অবশেষ এক পা পিছু হঠেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এতদিন কৃষিবিলের কোনো পরিবর্তন না করার এবং কৃষকদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কথা বলে চলেছিল তারা। বৈঠকও বারবার হচ্ছিল। বুঝবার কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হল, কৃষিবিল নিয়ে সরকার সব রকম ব্যাখ্যা দিতে প্রস্তুত। পাশাপাশি এক পা পিছু হঠে জানানো হল, বিলে কিছু সংশোধন করতেও তারা রাজি। কিন্তু লাভ হল না।
সবকটি কৃষক সংগঠন বৈঠক করে সর্বসম্মত ভাবে জানিয়ে দিল, তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে তারা অনড়। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হল আগামী আন্দোলনের কর্মসূচি:
১২ ডিসেম্বর দেশের সমস্ত টোল প্লাজাকে টোল ফ্রি করে দেওয়া হবে।
১২ ডিসেম্বর দিল্লি-জয়পুর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে।
১৪ ডিসেম্বর উত্তর ভারতের সকল কৃষকের কাছে ‘দিল্লি চলো’র আহ্বান রাখা হয়েছে।
দিল্লির পাশ্ববর্তী রাজ্যগুলি বাদে দেশের অন্যান্য রাজ্যের কৃষকদের স্থানীয় ভাবে বিক্ষোভ দেখানোর ডাক দেওয়া হয়েছে।
সমস্ত জিও পণ্য, অম্বানি-আদানিদের মল, পেট্রোল পাম্প বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
দেশজুড়ে বিজেপি নেতা, তাদের জেলা ও রাজ্য পার্টির দফতরগুলিকে ঘেরাওয়ের আহ্বান জানানো হয়েছে।
কৃষক আন্দোলনের নতুন শ্লোগান হয়েছে- ‘সরকার কি আসলি মজবুরি- আদানি, অম্বানি, জমাখোরি’(মজুতদারি)।
এরপরই কৃষকদের সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জিও পরিষেবা বয়কটের ডাক ওঠে। তৈরি হয়ে যায় নানা মিম। অনেকেই বলতে থাকেন, করোনা কালেও এই বিজেপি সরকারের জন্যই পকেট ভারি হয়েছে আম্বানি-আদানিদের। অথচ, কৃষকদের দাবি মানতেই সমস্যা কেন্দ্রের। অনেকে আবার বলেন, কৃষকদের সমর্থন জানাতে তাঁরাও জিও সিমের পিছনে আর অর্থ খরচ করবেন না।