মোদী জমানায় প্রেটলের দাম সেঞ্চুরীর দোর গোড়ায়,জনতা বলছে আচ্ছে দিন কোথায়

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :- প্রেটল ডিজেলের দাম বৃদ্ধি যেন জল ভাত । প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে এই দাম । মোদী জমানায় দ্রুত রেকড করতে চলেছে প্রেটলের দাম বৃদ্ধি । আর কয়েকদিনের মধ্যেই সেঞ্চুরী করতে চলেছে প্রেটল ।   সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনে প্রতি লিটার পেট্রলের   দাম বেড়েছে ২৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৯ পয়সা। যার ফলে এদিন মুম্বইতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম দাঁড়িয়েছে ৯৫ টাকা ৪৬ পয়সা। অন্যদিকে, ৮৬ টাকা ৩৪ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল। আর কলকাতায় এর দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি লিটারে যথাক্রমে ৯০ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা।

টানা সাত দিন ধরে বেড়ে চলেছে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। সোমবারও এর দাম বেড়েছে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিন একের পর এক রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে জ্বালানি তেলের দাম। দেশের মধ্যে রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে পেট্রল ও ডিজেলের দাম সবথেকে বেশি। এদিন সেখানে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ৯৯ টাকা ৫৬ পয়সা। আর ৯১ টাকা ৪৬ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে ডিজেল। এদিকে, কলকাতায় পেট্রলের দাম ইতিমধ্যে ৯০ টাকার গণ্ডি পার করে গিয়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরে ডিজেলের দামও ৯০ টাকার দোরগোড়ায়।

 

ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ৮১ ডলার প্রতি ব্যারেল (১ ব্যারেল = প্রায় ১৫৯ লিটার) থেকে কমে গত বছর ২০ ডলারের নীচে নেমে আসা সত্ত্বেও, মোদী সরকার আরও সাহসী হয়ে সেই সুবিধা জনগণকে দেওয়ার পরিবর্তে পেট্রল ও ডিজেলে উৎপাদন শুল্ক লিটার পিছু যথাক্রমে ১৩ টাকা ও ১৬ টাকা বাড়িয়ে দেয়।

২০১৪ সালে মোদী সরকার যখন প্রথম ক্ষমতায় আসে, তখন পেট্রলে উৎপাদন শুল্ক ছিল লিটার প্রতি ৯.৪৮ টাকা এবং ডিজেলের ৩.৫৬ টাকা। এখন ওই শুল্ক বেড়ে হয়েছে পেট্রলে ৩২.৯৮ টাকা এবং ডিজেলে ৩১.৮৩ টাকা। এর ওপর ডিলার কমিশন জুড়ে যে দাম দাঁড়ায় তার ওপর বিভিন্ন রাজ্য সরকার ১৫% থেকে ৩৬% হারে ভ্যাট ও সেস আদায় করে। পশ্চিমবঙ্গে ওই ভ্যাটের হার পেট্রলের ক্ষেত্রে ২৫% এবং ডিজেলের ক্ষেত্রে ১৭%। এর ওপর রাজ্যের নিজস্ব সেস রয়েছে লিটার পিছু ১ টাকা করে। ফলে, পেট্রল পাম্প থেকে যে দরে পেট্রল-ডিজেল কিনতে হয় তার প্রায় ৬০%-৭০% চলে যায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি শুল্ক-কর দিতে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি এবং তার ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক কষ্টের বোঝা কতটা বাড়বে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি গলা ফাটালেও ওই দুই জ্বালানিকে জিএসটি ব্যবস্থায় নিয়ে আসার দাবি কেউ তুলছে না।

যদিও এই কোন উচ্চ বাচ্য নেই কেন্দ্র সরকারের ,এই দাম বাড়াটা এক  রুটিন বলেই মনে করছে কেন্দ্র ।সাধারণ মানুষদের মধ্যে ক্ষোভ বিক্ষোভ বেড়েই চলেছে এই দাম বাড়ার ফলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.