নিউজ ডেস্ক :- রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে হত্যার চেষ্টায় তার উপরে বোমা ছোঁড়ার ঘটনায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি ও মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রের সাংসদ আবু তাহের খান। গোটা ঘটনায় গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ মোশারফ হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কারের কারণে শুভেন্দু অধিকারী এই মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছিলেন বলেও অভিযোগ করলেন আবু তাহের।
বুধবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে জাকিরের ওপর ওই প্রাণঘাতী আক্রমণকে কার্যত পূর্বপরিকল্পত বলেই মনে করছেন ঘটনার তদন্ত শুরু করা সিআইডির আধিকারিকেরা। তবে কয়েক ধাপ এগিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারী জড়িত আছে বলে দাবি করেছেন মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা সাংসদ আবু তাহের !
আবার মুর্শিদাবাদ জেলার যুব তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, ‘এ সব অধীর চৌধুরীর পুরনো খেলা।’ তাঁর সরাসরি অভিযোগ, অধীরই জাকির হোসেনকে খুনের চক্রান্ত করেছেন। এই অভিযোগ নিয়ে অধীরের মন্তব্য অবশ্য এখনও জানা যায়নি। সকালে জাকিরকে হাসপাতালে দেখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জাকিরকে সুপরিকল্পিতভাবে খুনের চক্রান্ত করা হয়েছিল। তবে আমি এখন কিছু বলব না, আগে তদন্ত হোক।’ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।
বুধবার রাতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনকে (Jakir Hossain) লক্ষ্য করে বোমাবাজির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ঘটনার তদন্তের দাবিতে সবর হয়েছিল সবমহল। বৃহস্পতিবার ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। বিস্ফোরণ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে নিমতিতা স্টেশনে গিয়েছেন বোম স্কোয়াডের চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি। সেই কারণে ফরাক্কা-জঙ্গিপুর আজিমগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে নিমতিতা স্টেশন চত্বর। মন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে দশটা থেকে জঙ্গিপুরের ওমরপুর ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনার রেলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। প্রশ্ন করা হচ্ছে, মন্ত্রীর যাত্রার কথা থাকা সত্ত্বেও কেন যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হল না। সব মিলিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জারি চাপানউতোর।
বুধবার রাতে কলকাতা যাওয়ার পথে নিমতিতা স্টেশনে জাকির হোসেনকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় গুরুতর জখম হন মন্ত্রী-সহ কমপক্ষে ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মন্ত্রীর হাতের একটি আঙুল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি পায়ের একাধিক জায়গায় স্প্লিন্টারের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আজ বেলা দশটায় অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল তাঁর।