নিজস্ব সংবাদদাতা,অয়ন বাংলা:-জঙ্গিপুর কেন্দ্রের ওয়েলফেয়ার পার্টির প্রাথী কাসেম রসুল ইলিয়াস এক সাক্ষাৎ কারে বললেন যে জঙ্গিপুরের মসনুষের জন্য কোন দল কিছুই করে নি।তিনি আরও বলেন,’আগে সিপিআইএম ও কংগ্রেসের মধ্যে মারামারি হত। খুনোখুনি হত। এই দুই দল মুর্শিদাবাদের উন্নয়ন করার পরিবর্তে হিংসা ছড়াতে ব্যাস্ত ছিল। হিংসার বলি হত বঞ্চিত সংখ্যালঘুরা। আজকের মুর্শিদাবাদের বঞ্চনার জন্য কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট সরকার দায়ী। কেন্দ্রে কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল, এখন বিজেপি আছে, কেউ কিছু করেনি।”ওয়েলফেয়ার পার্টির সভাপতি অভিযোগ করে বলেন,’স্বাধীনতার পর কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল।
এক সময় বামফ্রন্ট ইউপিএ সরকারে ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসও ছিল। কিন্তু জঙ্গিপুর সেই বঞ্চিত থেকেছে। মুর্শিদাবাদকে নিয়ে সব দলের একই নীতি। কংগ্রেস সিপিআইএম মুর্শিদাবাদকে সুকৌশলে শেষ করে দিয়েছে। আর এখন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এসেও সেই একই অবস্থা করছে কোন পরির্বতন নাই। কেন্দ্রের ফ্যাসিবাদী বিজেপি সরকার দেশ শেষ করছে আর তৃণমূল কংগ্রেস সরকার বাংলা শেষ করছে। মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েত, পৌরসভা ভোটে যা ইচ্ছে করছে তৃণমূল। গুন্ডাবাহিনী দিয়ে, বোমা মেরে ভোট লুট করা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের হাত থেকে মানুষ মুক্তি চাইছে।’ডঃ কাসেম রসূল ইলিয়াস বলেন,’ কংগ্রেস সিপিআইএম তৃণমূল সব এক। বিজেপির চেয়ে কংগ্রেস কম সাম্প্রদায়িক দল নয়। একটি দল প্রকাশ্যে হিন্দুত্বের প্রচার করছে আরেকটি দল নরম হিন্দুত্বের কথা বলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সময় আরএসএস বিজেপি বেড়েছে রাজ্যে। সিপিআইএমের হারমাদ বাহিনী আজ তৃণমূল বিজেপিতে গিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তাই প্রকৃত স্বাধীনতা আর মুক্তির জন্য মূল্যবোধভিত্তিক বিকল্প দল ওয়েলফেয়ার পার্টিকে মানুষ চাইছে। আজকের বঞ্চিত, শোষিত পিছিয়ে রাখা মানুষ একদিন কথা বলবে। নিজেদের অধিকার নিজেদের ছিনিয়ে নিতে হবে।’ সময়ই শেষ কথা বলবে।আজ জঙ্গিপুরের মানুষ বিড়ি শ্রমিক পেশা নিয়ে অসহায় ভাবে জীবন যাপন করছে,মানুষ এই অবস্থার পরির্বতন চাই।