ওয়েব ডেস্ক :-; সমস্ত জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করল কমিশন। বাংলার ২৯৪, কেরলের ১৪০, তামিলনাডুর ২৩৪, অসমের ১২৬ ও পুদুচেরির ৩০টি আসনে নির্বাচন মার্চ ও এপ্রিল মাসে। কমিশনের সাংবাদিক বৈঠকের প্রতি মুহূর্তের আপডেট পেতে চোখ রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে: বেজে গেল পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা। শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, তামিলনাড়ু, অসম ও পুদুচেরির ভোট নির্ঘণ্ট ঘোষিত। ৫ রাজ্যে মোট ৮২৪ আসনে নির্বাচন। পাঁচ রাজ্যে ২.৭ লাখ ভোট কেন্দ্রে মোট ১৮.৬৮ কোটি ভোটার ভোট দেবেন ।
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট। প্রথম দফার ভোট ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফার ভোট ১ এপ্রিল। তৃতীয় দফায় ভোট ৬ এপ্রিল। চতুর্থ দফার ভোট ১০ এপ্রিল
এবার বাংলায় বিধানসভা ভোট ৮ দফায়।
ফলপ্রকাশ ২ মে। কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হবে ২৭ মার্চ। দ্বিতীয় দফায় ভোট ১ এপ্রিল, তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ ৬ এপ্রিল,চতুর্থ দফা ১০ এপ্রিল,পঞ্চম দফার ভোট ১৭ এপ্রিল, ষষ্ঠ দফার ভোট ২০ এপ্রিল, সপ্তম দফা ২৬ এপ্রিল এবং অষ্টম অর্থাৎ শেষ দফার ভোট ২৯ এপ্রিল।
অসমে তিনদফায় নির্বাচন। ২৭ মার্চ, ১ এপ্রিল, ৬ এপ্রিল হবে ভোট। কেরালায় এক দফায় হবে নির্বাচন। ভোটগ্রহণের দিন ৬ এপ্রিল।
করোনা পরিস্থিতিতে বিহার বিধানসভা নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করার পর এই পাঁচ রাজ্যের ভোট পরিচালনা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কমিশন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা (Chief Election Commissioner of India Sunil Arora)। করোনা সংক্রমণ মাথায় রেখে নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়েও সতর্ক কমিশন। সমস্ত পোলিং অফিসারদের টিকাকরণ সম্পন্ন হওয়ার পরই তাদের ভোটের কাজে পাঠানো হবে। করোনা পরিস্থিতিতে এবারে বাড়ানো হয়েছে বুথের সংখ্যা এবং সমস্ত ভোট কেন্দ্রই হবে বিল্ডিংয়ের একতলায়।
করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে ভোটদানের সময় বাড়ল ১ ঘণ্টা। কমিশন জানিয়েছে, এবারে বাংলায় পোলিং বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ১লাখ ১ হাজার ৯১৬টি করা হয়েছে। ২০১৬ সালে বিধানসভায় বাংলায় পোলিং বুথের সংখ্যা ছিল ৭৭,৪১৩টি। শেষবারের থেকে পোলিং বুথের সংখ্যা ৩১.৬ শতাংশ বাড়ানো হল। বাংলার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকছেন দু’জন পুলিশ অবজার্ভার। তারা হলেন মৃণালকান্তি দাস ও অশোক দুবে। পশ্চিমবঙ্গে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন অজয় নায়েক।
করোনার কারণে কিছু বিশেষ নির্বাচনী বিধি জারি করেছে কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান, অনলাইনে মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। সশীরে মনোনয় জমা দিতে এলে প্রার্থীর সঙ্গে আসতে পারবেন শুধুমাত্র ২ জন। সর্বোচ্চ পাঁচ জন বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে পারেন।এছাড়া সুনীল অরোরা বলেন, করোনা বিধি মেনে রোড শোয়ে বাধা নেই। সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ি ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে কমিশন। প্রচারের জন্য কোন মাঠ ফাঁকা থাকবে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ কমিশনারের। করোনা পরিস্থিতিতে বাধাপ্রাপ্ত বোর্ড পরীক্ষাও। তাই সেই কথা নজরে রেখে বোর্ড পরীক্ষার দিন কোথাও নির্বাচন রাখা হবে না বলে স্পষ্ট করেছে কমিশন। এছাড়া, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত প্রার্থীদের বিজ্ঞাপন দিয়ে জানানোর নির্দেশ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সাত দফা নির্বাচন দেখেছিল রাজ্য। ভোট নিয়ে সরগরম বাংলা সহ বিভিন্ন রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ আসন, তামিলনাড়ুর ২৩৪ আসন, পুদুচেরির ৩০ আসন, কেরালায় ১৪০ ও অসমের ১২৬ আসনে হবে বিধানসভা নির্বাচন। ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এই পাঁচ রাজ্যে চালু হয়ে গেল ‘মডেল কোড অব কন্ডাক্ট’ বা ‘আদর্শ আচরণ বিধি’। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরোপ হবে বিবিধ বিধিনিষেধ। এরপর এই রাজ্যগুলিতে কেন্দ্র, রাজ্যের সরকার বা জেলা প্রশাসন প্রকল্পের ঘোষণা বা কাজে হাত দিতে পারবে না।
উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার আগেই এরাজ্যে হাজির হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্পর্শকাতর অঞ্চলে রুট মার্চও শুরু করেছে তারা। নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বাকি চার রাজ্যেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ১০০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত কমিশনের। এমাসের শেষেই রাজ্যে পৌঁছে যাবে ১৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৬,৪০০ বুথকে স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন ।
সৌজন্য :- এই সময় পত্রিকা