শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের সুতির কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে মৃত্যু হল কমপক্ষে ৭ জনের। আরও কয়েকজনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। জখম অন্তত ১০ জন। জঙ্গিপুর মেডিক্যাল মহকুমা হাসপাতালে তাঁদের ভরতি করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেও।
সুতির প্রধান সড়ক ধোলার মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমপক্ষে 9 থেকে 10 জন । তাদের পরিচয এখন ও জানা যায়নি । গুরুতর আহতদের তাদের কে মহেসাইল হসপিটাল থেকে জঙ্গিপুর হসপিটাল রেফার করেছে। উল্লেখ্য জঙ্গিপুরের দিচ্ছে কে ফরাক্কার দিকে আসার পথে একটি চারচাকা অটোকে ধাক্কা মারে কন্ট্রোল হারিয়ে পিছন থেকে আসা আরো একটি চারচাকা ধাক্কা মারে ,দুর্ঘটনা ঘটেছে দুপুর ১টা নাগাদ। জানা গিয়েছে, সূতির কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাজিবুল ইসলামের ছেলে আপেল শেখ একটি চারচাকার গাড়ি নিয়ে ৩৪ নং জাতীয় সড়কে (NH 34) সাজুর মোড় থেকে জঙ্গিপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে ছিলেন আরও ৫ জন। ধলামোড়ের কাছে গাড়ির ডানদিকের টায়ার ফেটে যায়। যার জেরে একটি লেন থেকে আরেকটি লেনে চলে যায় গাড়িটি। ওই লেন দিয়ে আসছিল একটি অটো, আরেকটি চারচাকার গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আপেল শেখের গাড়িটি পরপর ওই দুটি গাড়িকে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়। প্রাণহানি ঘটেছে আপেল শেখেরও। আরও কয়েকজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা।
অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাতেও এদিন আরেক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২ জন।
লরি উল্টে মৃত্যু হল ২ শিশুর আশঙ্কাজনক আরো ২! গভীর শোকের ছায়া এলাকায়
জাতীয় সড়কে লরি উল্টে মৃত্যু হল 7 বছর ও 11 বছর বয়সের দুই শিশুর আশঙ্কাজনক আরো দুই। বৃহস্পতিবার সাতসকালেই দূঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার অন্তর্গত মির্জাপুর হাজী সোলেমান চৌধুরী হাই স্কুল সংলগ্ন জাতীয় সড়কে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম ইরাক হোসেন বয়স 7 বছর সেলিম সেখ বয়স 11 বছর.।
মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য বহরমপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কারণে গভীর শোকের ছায়া ঘিরে রয়েছে পুরো এলাকায়।
লাগাতার দুর্ঘটনায় পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একদিকে রাজ্য সরকারের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’-এর প্রচার, অন্যদিকে, এ ধরনের দুর্ঘটনায় ক্রমশই সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ছে।