সেলিব্রেটিদের ব্যবসায় ভাঁটা, তাই এখন দলে দলে নামছেন রাজনীতির ব্যবসায, অভিমত বিশেষজ্ঞদের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : চিত্রতারকা থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দের মতো সেলিব্রেটিরা জনসেবার নামে দলে দলে এখন রাজনীতির রণাঙ্গনে নেমে পড়েছেন। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস সব দলেই এখন সেলিব্রেটি প্রার্থীর ছড়াছড়ি। সব সেলিব্রেটিরাই বলছেন “জনগণের সেবা করার জন্যই ভোটে দাঁড়িয়েছি…।” তবে সাধারণ মানুষ থেকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের মত যেসব সেলিব্রেটিদের ব্যবসায় এখন ভাঁটা চলছে তারাই রাজনীতিকে হাতিয়ার করে “কিছু করে কম্মে” রোজগারের ধান্দায় রাজনীতির ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছেন।
প্রসঙ্গত: বিভিন্ন পেশা থেকে রাজনীতিতে আসাটা কোনও অন্যায় নয়। অতীতেও বহু সেলিব্রেটিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েছেন। তবে তারা অধিকাংশরাই সেই দলের নীতি-আদর্শকে মেনে সেই দলে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত করে রাজনীতির রণাঙ্গনে প্রার্থী হয়েছেন। তাও তখন রাজনীতিতে আসা সেলিব্রেটির সংখ্যা ছিল সীমিত। তারাও রাজনীতিকে হাতিয়ার করে ব্যবসা করতে এসেছিলেন…. একথা অনস্বীকার্য বলেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
তবে বর্তমানে রাজনীতির ময়দানে যে হারে চিত্রতারকা থেকে শুরু করে খেলোয়াড় ও সেলিব্রেটিদের অনুপ্রবেশ ঘটছে তাতে বিস্মিত সাধারণ মানুষ। এই সেলিব্রেটিরা অধিকাংশরাই রাজনীতির “নীতি” না জানা মানুষ। বেহালা সেনহাটি এলাকার বাসিন্দা জয়শ্রী চৌধুরী নামে এক মহিলা বললেন, “এখন তো অধিকাংশ সিনেমা হলগুলো উঠেই গিয়েছে। সিনেমা দেখার লোক নেই, আর মোবাইলের দৌলতে টিভিরও দর্শক কমেছে।
যারফলে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ব্যবসার বাজার এখন মন্দা। পাশাপাশি যেসব খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স খতম, তারাও এখন রাজনীতির ব্যবসায় ভিড় করছেন। এরা সবাই বলছেন মানুষের সেবার জন্য রাজনীতিতে এসেছেন। আসলে এরা নিজেরা রাজনীতির ব্যবসায় নেমেছেন। রাজনীতির ব্যবসায় এখন প্রচুর মুনাফা। তাই জনসেবার অজুহাত দিয়ে এইসব সেলিব্রেটিরা এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হয়েছেন। আর রাজনৈতিক দলগুলোও এমন বেহায়া যে, এরা দলে নাম লেখালেই সঙ্গে সঙ্গে এদের টিকিট দিয়ে দিচ্ছে, অথচ তাদের দলের পুরনো কর্মীরা উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছেন, এতে দলেরই ক্ষতি হচ্ছে……” এমনটাই মন্তব্য জয়শ্রী চৌধুরীর। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও বলছেন ব্যবসা মন্দা বলেই সেলিব্রেটিরা এখন জনগণের দুয়ারে ভোট ভিক্ষায় নেমেছেন।