নিউজ ডেস্ক .কান্দি :- রাজনৈতিক জীবনে চারবার দলবদলু হয়েছেন। এবার পঞ্চমবারের জন্য দলবদলু হলেন। বড়ঞা বিধানসভায় পঞ্চমবার দলবদল করে মিমের প্রার্থী হলেন বহিস্কৃত তৃণমূল নেতা যষ্ঠীচরণ মাল। একটি স্যোশাল মিডিয়ায় পােস্ট ভাইরাল হয়েছে ,সেই নিয়ে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা ।
তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার পর এবারের নির্বাচনে বিজেপিতে ঠাই না পেয়েই তিনি মিমের প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে । যদিও এতে তৃণমূল বা বিজেপির ভােটব্যাঙ্কে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানানাে হয়েছে। মিমের প্রার্থী এখন বড়ঞা ,ডাকবাংলা .কুলি এলাকায় আলােচনার খােরাক হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
যদিও আন্দিতে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী র সভায় উনি গিয়েছিলেন কিন্তু ঠাঁই হয়নি স্টেজে ।
যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা দলের জেলা কমিটির সুখেন বাগদী বলেন, যষ্ঠীবাবু ওই সভায় বিনা নিমন্ত্রনে অতিথি ছিলেন। তাই ওকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে হয়েছিল।
যদিও এক্ষেত্রে যষ্ঠীবাবু বলেন, ওইদিন আমি বিজেপিতে যােগ দেওয়ার জন্য যাইনি। মেদিনীপুরের দাদার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক। তাই ওঁর সঙ্গে যােগাযোগ করে মঞ্চে উঠেছিলাম মঞ্চে উঠেছিলাম। আমি ওইদিন বিজেপিতে যোগ দিতে চাইনি।
এদিকে সােমবার সকালে স্যোশাল মিডিয়ায় হঠাৎ করে ষষ্ঠীবাবু মিমের প্রার্থী হয়েছেন বলে ছবি পােস্ট করা হয়। এরপর এলাকায় রাজনৈতিক শোরগোল পড়ে যায়। অনেককে এ নিয়ে হাসিঠাট্রাও করতে দেখা যায়। অনেকে বলেন, নির্বাচন এলেই যষ্ঠাবাবুর নাম দেওয়াল লিখনে দেখা যাবেই। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। অবশেষে মিমের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম দেখা যাবে। কিন্তু কোনওবার তিনি জয়ের মুখ দেখতে পাননি। দাঁড়াবেনই। সেটা যে দলের হয়েই হােক না কেন। বড়ঞা ব্লক সভাপতি গোলাম মুর্শিদ বলেন, উনি যেদিন মেদিনীপুরের দলবদলু নেতার সভায় মঞ্চে উঠেছিলেন,সেদিও ওকে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে ।
প্রসঙ্গত, যষ্টীচরণবাবু মােট পাঁচবারের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে তিনবার আরএসপি থেকে জয়ী হয়েছিলেন। একবার বিজেপি ও তৃণমূল থেকে একবার করে পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছিলেন। কংগ্রেসের পক্ষ একবার জেলা পরিষদ সদস্য হয়েছিলেন। এই নির্বাচনের আগে মােট তিনবার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করেছিলেন। তাঁর মধ্যে গত নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ।এবারেও তিনি তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার দাবিদার ছিলেন বলে তাঁর অনুগামীরা জানান। কিন্তু টিকিট কনর্ফাম নয় বুঝে তিনি বিজেপি যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন। প্রায় একমাস আগে মেদিনীপুরের এক দলবদলু নেতার আহ্বানে বিজেপির সভা ছিল স্থানীয় আন্দি গ্রামে। সেখানে ষষ্ঠাবাবু সবাইকে অবাক করে ওই দলবদলু নেতার সঙ্গে গলায় মালা পড়ে মাছ ওঠেন। কিন্তু মঞ্চে তাঁর ঠাই হয়নি। তাঁকে মঞ্চ থেকে কার্যত নেমে যেতে বলা হয় ।
এবিষয়ে যষ্টীবাবু বলেন, ছাত্রাবস্থা থেকে আমি রাজনীতি করছি। বাজনীতি ছাডা আমি কিছুই করি না। আমি তৃণমূল, আরএসপি, বিজেপি দল করেছি। এবার মিমের প্রার্থী। আমার এলাকায় আদিবাসী সম্প্রনায় পিছিয়ে রয়েছে।
সেই উন্নয়নের লক্ষ্য এবার আমি মিমের প্রার্থী হয়েছি ।