ওয়েব ডেস্ক :- মোদি সরকার এবং তাদের সহযোগী রাজনৈতিক এবং অরাজনৈতিক দলগুলো সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের মুসলিম বিদ্বেষী মতাদর্শগত কর্মসূচি বাস্তবায়নে একের পর এক মুসলিম ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে নানা প্রকারের ষড়যন্ত্র রচনা করে চলেছে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। এবার দিল্লির লোধি রোডে অবস্থিত ঐতিহাসিক লাল মসজিদ ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রে অমিত শাহের অধিনস্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সহ আরো কিছু মন্ত্রকের দ্বারা তৈরী এই ষড়যন্ত্র প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। আর ওয়াকফ সম্পত্তিতে অবস্থিত এই মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ ও দিয়েছে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকার। মসজিদ ভেঙে সেখানে মোদি সরকার সিআরপিএফ এর জন্য তৈরি করতে চায় পার্কিং লট, ব্যারাক এবং ক্যান্টিন। ইতিমধ্যেই মসজিদ সংলগ্ন একটি প্রাচীন গোরস্থান দখল করে নিয়েছে সরকার।
মসজিদ এবং ওই গোরস্থানটি ১৯৭০ সালে দিল্লি গেজেট এ তালিকাভুক্ত সরকারিভাবে স্বীকৃত ওয়াকফ সম্পত্তি। যেখানে সরকার সহ কোনো তৃতীয় পক্ষ তাদের স্বত্ব দাবি করতে পারে না। কিন্তু মোদি সরকার কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই মসজিদ দখলে তৎপরতা শুরু করেছে। ২০১৭ সালেই মোদি সরকার দখলে নিয়েছে মসজিদ সংলগ্ন প্রাচীন গোরস্থানটি। সেই গোরস্থানে দাফন করা মৃতদেহগুলোর অবশেষ সমূহ সরিয়েও নিয়ে যেতে দেয়নি সিআরপিএফ। এখন সেই গোরস্থানের ওপর বিভিন্ন নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সরকার। তার নিরাপত্তায় রয়েছে সিআরপিএফ এর সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী। তার আশপাশেও এখন কেউ যেতে পারে না।
গোরস্থান নিয়েও ক্ষ্যান্ত হয়নি মুসলিম বিদ্বেষী গেরুয়া শিবিরের পরিচালিত কেন্দ্র সরকার। তাদের তরফ থেকে গত ৩১ শে মার্চ নিজামউদ্দিন থানার SHO ঐতিহাসিক লাল মসজিদের ইমামকে মসজিদ সম্পূর্ণরূপে খালি করে দিতে বলেন। তারপরেই স্থানীয় মুসলিমদের মাঝে তৈরি হয় আতঙ্ক। দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য ওয়াজিহ শফিক মসজিদ ধ্বংস করার জন্য দেওয়া মোদি সরকারের এই অবৈধ নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। গত ৭ ই এপ্রিল তারিখে দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব সচডেভ লাল মসজিদের ভেঙে ফেলার সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। এই ব্যাপারে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ২৯ শে এপ্রিল।
তবে এই মসজিদটি এখনও অক্ষত থাকলেও কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুত্ববাদীদের চোখ যখন এটার ওপর পড়েছে এই মসজিদের অস্তিত্ব কতদিন থাকবে তা নিয়ে স্থানীয় মুসলিমরা গভীর আতঙ্গে আছেন। ওয়াজিহ্ শফিক এই ব্যাপারে বলেছেন, মসজিদটি এখনও যদিও অক্ষত আছে কিন্তু এটা নিরাপদ নয় কারণ মোদি সরকার মসজিদের সঙ্গে একই খসড়ার ওয়াকফ সম্পত্তি গোরস্থানটি অবৈধ ভাবে দখল করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই।
I Sapot har