ডঃ বি. আর. আম্বেদকর এর ১৩১ তম জন্মদিনে সাংবাদিক রত্ন পেলেন মৃত্যুঞ্জয় সরদার
নিউজ ডেস্ক :- ভারতের সংবিধান প্রণেত ডঃ বি. আর. আম্বেদকর এর ১৩১ তম জন্মদিনে পশ্চিমবঙ্গ সামাজিক ন্যায় মঞ্চের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির পক্ষ থেকে খেজুরির হেঁড়িয়া, কলাগাছিয়া, রামনগর, হলদিয়া, চন্ডিপুর বিভিন্ন ব্লকে কর্মসূচিটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। এ বছরে করোনা আবহাওয়ার মধ্যে হো উৎসবের মেজাজে, করোনা বিধি মেনে পালিত হল সাহেবের জন্ম জয়ন্তী উৎসব। বাংলায় যেন একটি অন্য মাত্রায় এই উৎসব পালন করলেন কলকাতার একাধিক সংগঠন, বউবাজার থানাসংলগ্ন বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা হলে পালিত হল বাবাসাহেব আম্বেদকর এর জন্মজয়ন্তি উৎসব। আম্বেদকর সমাস আচার্য আয়োজক ছিলেন, পরিচালনায় ছিলেন আম্বেদকর ফাউন্ডেশন,বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা, তুহিনা প্রকাশনী, পিপলস এডুকেশন সোসাইটি আম্বেদকর কালচারাল কলেজ আম্বেদকর বিএড কলেজ এবং জয় ভীম ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক। সবচাইতে আকর্ষ এবং আশ্চর্য বিষয় আম্বেদকর সমাজ আচার্য সম্মানে সম্মানিত হলেন পৃথ্বীরাজ সেন, ডক্টর রতন কুমার বারুই । সাহিত্য সম্মানে সম্মানিত হলেন খাগেন্দ্রনাথ সরকার, নাজমা সুলতানা, সোমা মুখার্জি, লক্ষ্মী নারায়ণ চক্রবর্তী কালিদাস অনেকেই। এছাড়াও মহাপ্রাণ স্মারক সম্মান পেলেন গোপাল দেবনাথ , ডঃ সুভাষ বিশ্বাস ও অন্যান্য ব্যক্তিরা। আম্বেদকর সম্মানে সম্মানিত হলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর সনদ কুমার নস্কর মহাশয়। এছাড়াও বাংলার বিশিষ্ট কবিদের, সাংবাদিকদের ও শিল্পীদের সম্মানিত করেন? এছাড়াও আম্বেদকর কে নিয়ে বিভিন্ন বক্তার তাদের নিজেদের উক্তি তাতেই বিভিন্ন কথা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। সবচেয়ে মূল্যবান বক্তৃতা দিয়েছিল মৃত্যুর পরেও আম্বেদকর মূল্যহীন নয় এ কথাটি বলেছিলেন সমস্ত অনুষ্ঠানের আহ্বান যিনি এবং এই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা দিলীপ বিশ্বাস মহাশয়।অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা ও আয়োজনে একমাত্র যিনি ছিলেন তিনি হচ্ছেন দিলীপ বিশ্বাস মহাশয়। মুক্তমঞ্চে শিল্পী ও প্রযোজকদের সম্মানিত করেছিলেন তবে বাংলার এক নামকরা প্রযোজক অরুণ কুমার অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এবারে বাংলার সেই দামাল ছেলে যার গ্রামগঞ্জে তাকে নিয়ে বহু বিতর্ক তিনি বাংলার ইতিহাসে একটা অধ্যায় হিসেবে রয়ে যাবে। বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান, আমেরিকা ও অন্যান্য দেশে বাঙালি সমাজে তার লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি বাংলার গ্রাম গঞ্জের ক্যানিং দু’নম্বর ব্লকে হেদিয়া গ্রামের মৃত্যুঞ্জয় সরদার, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক হিসাবে আন্তর্জাতিক সাংবাদিক রত্ন তুলে দিলেন দিলীপ বিশ্বাস মহাশয় মৃত্যুঞ্জয় সরকারের হাতে। বাংলার এই দামাল ছেলে কেনইবা বড় ইউনিভার্সিটি তে পড়াশোনা করতে পারল না? কেনইবা তার জীবনের অন্যান্য সাংবাদিকের থেকে একটু বিতর্ক কেনই বা তাকে জেলহাজতে বসবাস করতে হয়েছিল! তার পরেও একের পর এক করোনা আহওয়ার মধ্যে তিনি পুরস্কৃত হলেন সর্বতোভাবে বিরলতম ঘটনা।তবুও হতাশ নয় মৃত্যুঞ্জয় সরদার।কেন গোল্ডেন এ প্লাসটা তার দখলে আসবে না? কেন মেডিকেলে চান্স পাননি বলে জীবনকে ব্যর্থ মনে করেন না? কেন অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পারেননি বলে হতাশায় ভেঙে পড়েননি। এমন কথা সত্য প্রমাণিত করেছেন ড. বি আর আম্বেদকর। তেমনি সাংবাদিকতার এমনই সব কথার প্রমাণিত করেছেন সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদার। আম্বেদকর নিম্ন বর্ণের হয়েও ভারতের মতো দেশের একজন স্মরণীয় ব্যক্তি হয়ে রয়েছেন।ড. বি আর আম্বেদকর। জন্ম ১৯ শতকের শেষভাগে ব্রিটিশ ভারতের মধ্যপ্রদেশে এক দলিত পরিবারের ১৪ নম্বর সন্তান হিসেবে জন্মগ্রহণ করেন। অস্পৃশ্য হওয়ায় স্কুলে তাকে বসতে হতো ক্লাসের বাইরে বারান্দায়। এমনকি তেষ্টা পেলে স্কুলের উচ্চবর্ণের দফতরটি ছোঁয়া বাঁচিয়ে ওপর থেকে পানি ঢেলে না দেওয়া পর্যন্ত পানি খাওয়ার অনুমতিটুকুও ছিল না তার। এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে ১৯ মাইল দূরের পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে গাড়োয়ান তাকে গরুর গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিল অস্পৃশ্য হয়ে গাড়িতে ওঠার অপরাধে। তবে ঠিক এইরকম বিরলতম ঘটনা না হলেও অন্যরকম বিরলতম ঘটনা আর এক নিম্ন জাতির সাংবাদিক মৃত্যুঞ্জয় সরদারের সাংবাদিকতা জীবনে ঘটে চলেছে। তবে তিনি বিশিষ্ট সাংবাদিক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে একাধিকবার।