বার্শিরুল হক: আট দফা নির্বাচনে আবার সাংবাদিক হেনস্থা, কেন্দ্রীয় বাহিনী তাদের নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে যেভাবে একের পর এক নির্বাচনে একদম পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে দিচ্ছে তারা বিজেপির হয়ে কাজ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে বাঁদিকে ছবি তুলতে বাধা ও সাধারণ আম পাবলিকের মত ঠিক করে 200 মিটার দূরে সরে দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গা 71 নম্বর বিধানসভাযর ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসা তে 148 149 নম্বর বুথে।
বেলডাঙ্গা ৭১ নম্বর বিধান সভার ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসায় ১৪৮, ১৪৯ নম্বর বুথে কোনো করোনা বিধি না মেনে ভোট হচ্ছিল। নেই সামাজিক দুরত্ব । নেই অনেকের মুখে মাস্ক। এমনকি ভোটারদের অভিযোগ, একটা ভোট হতে আধঘন্টার বেশি সময় লাগছে। বয়স্কদেরও লাইনে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে বমি হচ্ছে। এই সব অভিযোগ শুনতে গেলে ১৪৯ বুথের সেনাবাহিনী কোনো ভাবেই সংবাদিক কে ছবি তুলতে দেওয়া হলোনা। এমনকি হুমকির সঙ্গে বলছে আপনি এখান থেকে রাস্তায় চলে যান। এখানে কোনো ছবি নেওয়া হবে না। সংবাদিক বুথের প্রায় ১০০ মিটার দূরত্বে নিয়ে গেলেন বুথের বাহিনী কিন্তু বুথের ভিতরে প্রিসাইডিং অফিসার এর অনুমতি না নিয়ে কোনো কাজ করা যাবে না, ঠিকই আছে। তাহলে বুথের বাহিরে কেন ছবি তুলতে দেওয়া হলনা। ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় সরদার বলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এইভাবে মিডিয়াকে হেনস্থা করতে কোন ভাবেই পারেনা । তবে নির্বাচন কমিশনার কে দেখার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কে. সবারি রাজকুমারকে সংবাদিকেদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ” আমি দেখছি বিষয়টি, সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুথ নম্বরও জেনে নিলেন। ১ঘন্টা পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র অফিসার কে অভিযোগ জানানো হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছবি তোলার অনুমতি দেন, তারপর সেখান থেকেই তিনি চলে যান। পরে আবার দেখি ছবি তুলতে গেলে নিষেধ। এই ভাবে মিডিয়াকে বার বার হ্যারাসমেন্ট করা হয়েছে। এছাড়া একাধিক বুথে দেখা গিয়েছে সেনাবাহিনীর এই রুপ আচরণ।